ইসলামী মূল্যবোধ, ধর্মীয় উদ্দীপনার বহির্প্রকাশের লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখির জন্য প্রয়োজন হয় ইসলামিক স্ট্যাটাস এর। কেননা, প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব, রুচি ও মূল্যবোধ ফুটে ওঠে তার লেখায়। মনোযোগ আকর্ষণ এবং ব্যক্তিত্ব গঠনেও রয়েছে এর ভূমিকা।
সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশের ধর্মীয় বিষয়ে জানা-শুনা খুবই কম। ফলে ধর্মীয় চেতনা লালন করলেও তা প্রকাশ করার সক্ষমতা নেই বললেই চলে। তাই দৈনন্দিন ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় বাংলা ইসলামিক স্ট্যাটাস ও সেরা উক্তিগুলো একত্র করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। যেন ধোঁয়াশা পূর্ণ, অনির্ভরযোগ্য এবং ভুল তথ্য লেখায় প্রচারিত না হয়।
বাংলা ইসলামিক স্ট্যাটাস ও উক্তিগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো। আশা করছি, এর থেকে সকলেই উপকৃত হবেন।
ইসলামিক স্ট্যাটাস:
নিম্নে সুপ্রসিদ্ধ কয়েকটি ইসলামিক স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়ল। পাঠকবৃন্দ এখান থেকে কপি করে স্বীয় পোস্টের ক্যাপশনে, লেখায় ব্যবহার করতে পারেন।
💖🌻 সুখ শান্তি আল্লাহর নিয়ামত-! 💚
আমি কখনই একা নই, আল্লাহ 💝 সবসময় আমার সাথে আছেন।
💖🌻তোমার রব কে? 💚
“যে ব্যক্তি অন্তরের পরিশুদ্ধিতার জন্য বেশি বেশি গান-বাদ্য শুনে, তার অন্তর থেকে ধীরে ধীরে কুরআন শোনার আগ্রহ চলে যায়। এমনকি হয়তো কুরআন শোনাটা তার কাছে অপছন্দনীয় হয়ে উঠে।”
– ইবনু তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ।
[ ইরুতিদ্বাউস সীরাতিল মুস্তাকীম: পৃ. ২১৭]
আসমানি কিতাবের আসল রুহ এবং মূল হলো, ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার প্রতি সীমাহীন লিপ্সা ও আসক্তির ব্যাপারে নিরুৎসাহিত ও নিন্দা করা এবং চিরস্থায়ী আখেরাতের প্রতি মুমিনদের আগ্রহী ও অগ্রগামী করে তোলা-যেটা ইহুদিদের কাছে থাকা বর্তমান তাওরাতে মোটেও নেই। – সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী
মানবরচিত মতবাদ সীমাবদ্ধ, জুলুম হবার সম্ভাবনা থাকে। আর আল্লাহ চান ন্যায় প্রতিষ্ঠা। ফলে নীতিতেই সংঘর্ষ। – ডা. শামসুল আরেফীন
অন্য ধর্ম আর ইসলাম একটা। অন্যান্য ধর্মে সুনির্দিষ্ট পরিবারনীতি-সমাজনীতি-রাষ্ট্রনীতি-অর্থনীতি নেই, কেবল বিশ্বাস আর পার্বণ। ও জিনিস যদি না-ই থাকে, আধুনিক কনসেপ্টগুলোর সাথে টক্কর লাগবে কীভাবে? ইসলামে যেহেতু আছে, তাই ইসলামের সাথে বাধে। – ডা. শামসুল আরেফীন
দুইটা পাপ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।
১. বান্দার হক নষ্ট করা,
২. আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক কারা,
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই ধরনের মহাপাপ থেকে রক্ষা করুন। আমীন। 💖
“রবের দিকে ফিরে আসার জন্য খুব জমকালে আয়োজনের দরকার হয় না। প্রয়োজন হয় কেবল আন্তরিক তাওবা আর চোখের পানিই তো।”
– আরিফ আজাদ
►► আরো দেখুন: ইসলামিক লেখা পিকচার
►► রাসুল সা.-এর জীবনে সংঘটিত সকল যুদ্ধের ইতিহাস
“তিনিই তোমাদেরকে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর নির্দিষ্টকাল নির্ধারণ করেছেন। আর অপর নির্দিষ্টকাল আল্লাহর কাছে আছে. তথাপি তোমরা সন্দেহ কর”
[সূরা আল আন-আম, আয়াত: ২)]
” হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর”
[সূরা আশ শু’আরা আয়াত: ৮৩]
বিয়ের পাত্রীর সম্মন্ধে ৫ টি বিষয়ে খোঁজ নিবেন:
১. মেয়ের ঘুমের সময় অর্থাৎ, কখন কখন ঘুমায়?
২. মেয়ের নিজের কাজকর্ম কে করে দেয়? যেমন তার কাপড়-চোপর কে ধুয়ে দেয়? বিছানা কে ঝেড়ে দেয়? খাবার কে বেড়ে দেয়? ইত্যাদি।
৩. মেয়ে তার বাবা-মার কী কী খেদমত করে?
৪. মেয়ের ব্যক্তিগত আমল ও আমলের সময়।
৫. দুলাভাই, চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাইদের সামনে বেপর্দা অবস্থায় যায় কিনা?
পাত্র সম্মন্ধে ৭ টি বিষয় জেনে নিবেন:
১. ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কোথায় পড়ে?
২. আয়ের কতটুকু বাড়িতে দেয়?
৩. সংসারের কোন কোন দায়িত্ব পালন করে?
৪. বাসায় মা বাবা কোন কোন ওষুধ সেবন করেন?
৫. বাসায় কখন ফেরে?
৬. ব্যক্তিগত আমল ও আমলের সময়।
৭. পরিবার ও সমাজের গায়রে মাহরাম নারীদের সাথে তার আচরণ কেমন?
ভালোবাসেন কাউকে!
আমি – আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা. কে। 💖
মাটির দেহ নিয়ে কখনও করিওনা বড়াই, দু চোখ বন্ধ হলে দেখবে পাশে কেউ নেই।
যাকে তুমি ভাবো আপন, সে হবে পর; আপন হবে নামাজ, রোজা অন্ধাকার কবর।
“ক্ষমাপ্রার্থনা করলে কুরআনুল কারিমে দুনিয়ায় তিনটা জিনিস দেওয়ার কথা আছে।”
এক. _মুষলধারে বৃষ্টি।
দুই. _সম্পদ।
তিন. _ সন্তানাদি।
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর উপর ভরসাকারীদেরকে ভালোবাসেন।”
[আল-ইমরান, আয়াত: ১৫৯]
“যে ব্যক্তি ‘সুবাহানাল্লাহিল ওয়াবিহামদিহী সুবাহানাল্লাহিল আযিম’ পড়ল তার জন্য জান্নাতে একটা খেজুর গাছ লাগানো হবে।”
[তিরমিয়ি: ৩৪৬৪ ]
“আপনি কখনোই সে সমস্ত বস্তুর দিকে তাকাবেন না, যা আমি তাদের উপভোগের জন্য দিয়েছি। এসব দিয়ে আমি তাদের পরীক্ষা করি। বস্তুত, আপনার প্রতিপালকের দেওয়া রিজিকই হলো সবচেয়ে উত্তম ও সবচেয়ে বেশি স্থায়ী।”
[সূরা-ত্বহা, আয়াত: ১৩১]
“তোমরা ভয় কর সেই দিনকে, যখন কেউ কারও সামান্য উপকারে আসবে না এবং কারও পক্ষে কোন সুপারিশও গ্রহণ করা হবে না।”
[সূরা-বাকারাহ, আয়াত: ৪৮]
“যারা মুমিন, তাদের জন্যে কী আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য (কুরআন) অবতীর্ণ হয়েছে, তার কারণে হৃদয় বিগলিত হওয়ার সময় আসেনি।”
[সূরা-হাদিদ, আয়াত: ১৬]
যে জমে কাজ করে, সে পরে ছড়ায়। আর যে শুরুতে ছড়ায়, সে পরে হারিয়ে যায়।
✍️শায়েখ মহিউদ্দীন ফারুকী হাফি.
ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস:
ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস সাধারণত অন্যান্য ইসলামিক স্ট্যাটাস থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে। কেননা তা হতে হয় আবেগঘন, হৃদয়গ্রাহী; যা আবেগকে করে তুলে আন্দোলিত। নিম্নে সুপ্রসিদ্ধ কয়েকটি ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস তুলে ধরা হল।
আমরা সবাই পাপী। নিজের পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি।
-কাজী নজরুল ইসলাম
“কিসে তোমাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করালো ? তারা বলবে, আমরা নামাজ পড়তাম না।”
[সূরা আল মুদ্দাসসির: ৪২, ৪৩]
“পরিবর্তন” আর মৃত্যু……
যে কোন সময় হতে পারে।
পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল অংকের নাম জীবন। যে সূত্রেই প্রয়োগ করা হোক না কেন, ফলাফল কিন্তু মৃত্যুই আসবে।
মানুষ সব সময় মৃত্যু থেকে বাঁচার চেষ্টা করে, কিন্তু জাহান্নাম থেকে নয়, অথচ মানুষ চাইলে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারে কিন্তু মৃত্যু থেকে নয় ।
১৪ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকা এই সূর্যের নীচে জাস্ট ১৫ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে কল্পনা করুন, হাশরের ময়দানে সূর্য মাথার ঠিক উপরে আসার পরিস্থিতি!
আল্লাহুম্মাগফিরলী!💔
যদি রবের নাম আর রাহমান না হতো! তাহলে কবে আমরা ধুলির সাথে মিশে যেতাম।
ছেলের মৃত্যুশয্যায় মা গুমরে গুমরে কাঁদছেন। ছেলে জানতে চাইল: আমার সারাজীবনের আমলনামা আপনার সামনে রাখা হলে, আমার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নিতেন?
-বাছা, আমি তোর প্রতি দয়া করতাম। তোকে মাফ করে দিতাম।
-আপনি চিন্তা করবেন না। আল্লাহ তাআলা আপনার চেয়েও বেশি দয়ালু, বেশি ক্ষমাশীল।
-শাইখ আতিকুল্লাহ
বান্দার বয়স যখন চল্লিশ বৎসরে পৌঁছে তখন আসমান হতে একজন ফিরেশতা ডেকে বলেন, হে বান্দা ! মৃত্যুর সময় ঘণিয়ে এলো ! এবার অন্তত পরকালে পাথেয় সংগ্রহ করো। [রওযাতুল উক্বালা]
গোনাহ গন্ধহীন। না হয় পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত ডাস্টবিনটা হতাম আমি।
“কষ্ট যদি নেয়ামত’ই না হবে, তবে ‘কষ্ট’ কেনো আল্লাহকে স্মরণ করায়?
“নিশ্চয়ই! কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।” [ ইনশিরাহ:০৫]
“তারা কি লক্ষ্য করে না, প্রতিবছর তারা দু’একবার বিপর্যস্ত হচ্ছে, অথচ তারা এরপর ও তওবা করে না কিংবা উপদেশ গ্রহণ করে না।”
[সূরা-তাওবা, আয়াত:১২৬]
“হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহান রব সম্পর্কে ধোঁকা দিয়েছে।”
[সূরা-ইনফিতার, আয়াত:০৬]
ইসলামিক স্ট্যাটাস ক্যাপশন এর জন্য:
সোশাল মিডিয়ার ব্যবহারের জন্য নিম্নে কয়েকটি ইসলামিক ক্যাপশন উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো বাছাইকৃত। পাঠকবৃন্দ পোস্টের ক্যাপশনে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
অবুঝ শিশুরা যেমন কেঁদে কেঁদে তাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করে মায়ের কাছে, ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের উচিৎ আল্লাহর দরবারে কেঁদে কেঁদে সব সমস্যার সমাধান করে নেওয়া।
তোমাতে সঁপিতে মন মন চায় গো নবীজি ﷺ, তোমারই নাম শুধু গুন গুন গাই।
আপনার প্রিয় সূরা?
💖🌻সুখ শান্তি আল্লাহর নিয়ামত। 💚
“একটি মশার ভয়ে যদি আপনি মসারীর ভিতরে ঢুকতে পারেন, তাহলে দোযখের আগুনের ভয়ে কেন মসজিদে যেতে পারবেন না ।”
“কেয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকটতম ব্যক্তি হবে সেই, যে তার প্রতি অধিক পরিমাণে দুরুদ পাঠ করেছেন ।”
— তিরমিজি
“পথ হারা বান্দা আমি চাই যে আলোর দিশা।
মুছে দাও হে আল্লাহ সকল পাপের নিশা।
ক্ষমা ও ভালোবাসা তোমার অবদান,
তাইতো তোমার নাম রেখেছ রহিম রহমান ।”
“তুমি জান্নাত চেয়েও না বরং তুমি দুনিয়াতে এমন কাজ করো যেন জান্নাত তোমাকে চায় ।”
— হযরত আলী (রাঃ)
“কথা ফুরানোর আগেই বেলা ফুরায়, আর আশা ফুরানোর আগেই জীবন।”
– আরিফ আজাদ
আপনার একটি কন্যাসন্তান হলে আপনি তার কী নাম রাখবেন..?❤️
“আপনার ভবিষ্যৎ আপনার অতীতের চেয়ে উত্তম হবে।”
ইনশাআল্লাহ
“হে আদম সন্তান! তুমি যদি এই দুনিয়াকে আখিরাতের বিনিময়ে বিক্রি করো, তাহলে নিশ্চিত থাকো, তুমি দুনিয়া এবং আখিরাত উভয়ই লাভ করবে। আর যদি তুমি আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়া ক্রয় করো, তাহলে তুমি দুটোই হারাবে।”
– ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ্)
“হে যুবক! যৌবনের উচ্ছলতায় কিছু পাপ হবে তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তবে নামায কাযা করার পাপ যেন তোমার আমলনামায় না থাকে।”
– খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)
শুক্রবার হলো সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। শুক্রবার মানে গুনাহ মাফের আর একটা সুযোগ।
“অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু”
[সূরা আল মায়েদাহ, আয়াত: ৩৯]
“যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, আমি তাদের দৃষ্টিতে তাদের কর্মকান্ডকে সুশোভিত করে দিয়েছি, অতএব তারা উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়।”
[সূরা-নামল, আয়াত: ০৪]
“হে বনী আদম, শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে, যেভাবে সে তোমাদের পিতা-মাতাকে জান্নাত থেকে বের করেছিল।”
সূরা-আ’রাফ (আয়াত: ২৭)
সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় ইসলামিক স্ট্যাটাস
সোশাল মিডিয়ার ব্যবহারের জন্য অনেক সময় প্রয়োজন হয় ইসলামিক ছোট স্ট্যাটাস এর। বড় বড় স্ট্যাটাসের পাশাপাশি ছোট ছোট স্ট্যাটাসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। নিম্নে কয়েকটি ইসলামিক ছোট স্ট্যাটাস উল্লেখ করা হয়েছে। পাঠকবৃন্দ পোস্টের ক্যাপশনে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
তওবা হচ্ছে জান্নাতের সিঁড়ি!’💖
“সর্বাধিক বরকতপূর্ণ বিয়ে হচ্ছে, যার খরচ যত সহজ ও স্বাভাবিক হয়।”
[মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৪৫২৯]
তোমার দ্বীন কি?
-মা মানেই হাজারো খুশির কারণ! 🖤
আমরা প্রতিদিন ৮৬,৪০০ সেকেন্ড বিনা পায়সায় শ্বাস নেই।
আলহামদুলিল্লাহ।
ভুলগুলো ক্ষমা করে, তোমার সুবাস দাও মেখে 🧡
“যে বয়সে আমি আল্লাহকে সিজদাহ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি সে বয়সে অনেকে কবরে শুয়ে আছে, তাই শুকরিয়া আদায় করি।”
আলহামদুলিল্লাহ।
“কাজেই তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব।”
[সূরা: বাকারাহ, আয়াত: ১৫২]
“আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বেহিসাবি রিজিক দান করেন”
[সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩৮]
“বলা হয়, সব কিছুরই সূচনা আছে, আর শত্রুতার সূচনা হয় হাসি-মশকরা থেকে।”
— ইবনু-মুফলিহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[আল-আদাবুশ শারইয়্যাহ: ২/২২৩]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: গরীব মুমিনরা ধনীদের পাঁচশত বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
[তিরমিযী: ২৩৫১]
সবচেয়ে সুখী মানুষ সে, যে অল্পতেই আলহামদুলিল্লাহ বলে। ❤️
তোমরা সাহরী খাও, কেননা সাহরী খানায় বরকত রয়েছে।
[সহীহ বুখারী]
ইসলামিক উক্তি:
ইসলামিক উক্তি বলতে বোধায় কুরআন, হাদিস বা পূর্ববর্তী কোনো মনীষী তথা সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী, সালাফে সালেহীন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীনের মুখনিসৃত বাণীকে। যেগুলো আমাদের জীবন পথের পাথেয় হিসেবে কাজে আসে। নিম্নে প্রসিদ্ধ, অপ্রসিদ্ধ কতিপয় ইসলামিক উক্তি তুলে ধরা হলো।
“মহাসাগরের পানি দিয়ে একটা গুনাহ মোছা যায় না, কিন্তু আল্লাহর কাছে এক ফোটা চোখের পানি দিয়ে মহাসাগরের পানির সমান গুনাহ মোছা যায়।”
– শায়খ মুস্তাকুন্নবী (হাফি.)
“সেদিন মানুষ বলবে, ‘পালাবার স্থান কোথায়’? না, কোন আশ্রয়স্থল নেই, ঠাঁই শুধু সেদিন তোমার রবের নিকট।”
[সূরা-কিয়ামাহ, আয়াত: ১০-১২]
আবু জাহেল এত উচ্চ বংশীয় হয়েও জাহান্নামী আর বেলাল রা. হাবাশী গোলাম হয়েও জান্নাতী।
আসলে আল্লাহ তা‘আলার কাছে গ্রহণযোগ্য শুধু তাকওয়া।
হে মুমিনগণ!
সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য লাভ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে আছেন।
❝যে পুরুষ বেগানা নারী দেখে দৃষ্টি হেফাজত করবে, কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।❞
[সহীহ আত্ব-তারগীব : ৪৭১৩]
মহানবী বলে তারে কেউ বা ডাকে,
আমি ডাকি প্রিয়তম।💖
-মতিউর রহমান মল্লিক
তকদির 💝
°
অদ্ভুত এক জিনিস।
হারাম সম্পর্ক নস্ট হয়ে গেলে শুকরিয়া আদায় করুন।
কাপুরুষের মতো হতাশ হবেন না। কারণ, আপনি কিছুই হারাননি বরং পেয়েছেন মুক্তির পথ।
“জালিমদের জন্য”
‘নিশ্চয়ই তোমার রবের পাকড়াও বড়ই কঠিন।’
[সূরা বুরুজ: ১২]
মানুষের সাথে সদয়ভাবে কথা বলুন।
বুকে হাজারো কষ্ট নিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’
বলাটা আল্লাহ’র প্রতি অগাধ বিশ্বাসের নমুনা।
এই রমজান আমার আপনার জীবনের শেষ রমজান হতে পারে।
আল্লাহ তওবাকারীদের কে ভালবাসেন।
এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরও ভালবাসেন।
আল্লাহ এক এবং তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ।
💝
সেরা ইসলামিক উক্তি:
শ্বাস নিচ্ছি – আলহামদুলিল্লাহ
ভালো আছি – আলহামদুলিল্লাহ
বেঁচে আছি – আলহামদুলিল্লাহ
একজন নেককার স্ত্রী স্বামীর জন্য শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। 💝
আমি কষ্ট পেয়েছি, আমি শিখেছি, আমি বদলে গেছি।
দিনের শেষে মায়ের ভালোবাসাই আশা বাঁচিয়ে রাখে 🖤
মা তুমিই সেরা ❤️
কাউকে ক্ষমা করে মহৎ হওয়া যায়।
তবে দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করে ধোঁকা খেয়ো না।
পুরুষের জন্য সবচেয়ে বড় ফিতনা হলো নারী!
আর এই নারী থেকে বাঁচার উপায়ও হলো নারী!!
তোমাদের সাথে আমাদের বিরোধটা অবশ্যম্ভাবী। কারণ, তোমাদের কিবলা ওয়াশিংটন আর আমাদেরটা বাইতুল্লাহ। তোমাদের মাপকাঠি পশ্চিমাদের শেখানো মুখরোচক বুলি, আর আমাদের মাপকাঠি হলো আল্লাহর পবিত্র কালাম।
“নিশ্চয়ই আল্লাহ সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী।”
[সূরা আনফাল : ৩০]
“অনবরত পাপ আপনাকে দরিদ্র ও হতাশ বানিয়ে ছাড়বে।”
– ইবনুল কাইুয়্যম (রহ.)
সবাই কে দুনিয়া ছাড়তে হবে,
তখন দুনিয়ার সকল পদ, ক্ষমতা, বাহাদুরি, দাপট আর মুখোশ সব খুলে যাবে……
রয়ে যাবে জুলুম আর বাড়াবাড়ির ইতিহাস ।
কোন জালেমই বেইনসাফির শিরোনাম দিয়ে জুলুম করে না,
বরং সব জালেমই ইনসাফির শিরোনাম দিয়ে জুলুম করে।
“কোন মানুষ জানেই না আমি তাদের আমলের বিনিময়ে তাদের জন্য চোখ জুড়ানো জুড়ানো কি বস্তু লুকায়িত রেখেছি।”
[সূরা-সাজদাহ: ১৭)]
এই পৃথিবী মুমিনদের জন্য কারাগার আর অবিশ্বাসীদের জন্য জান্নাত।
“সেদিন মানুষ বলবে, ‘পালাবার স্থান কোথায়’? না, কোন আশ্রয়স্থল নেই, ঠাঁই শুধু সেদিন তোমার রবের নিকট।”
সূরা-কিয়ামাহ্ (আয়াত:১০-১২)
দুনিয়াতে হেসে খেলে চলা মানুষটা হয়তো ওপারে গিয়ে আর হাসবে না।
চোখ ভর্তি অশ্রু, মন ভর্তি যন্ত্রণা নিয়ে চলা মানুষটা হয়তো ওপারে গিয়ে আর কাঁদবে না।
রঙ্গিন পৃথিবীর এ রঙ মেলায়,
থাক যদি মগ্ন কি হবে উপায়।
জীবনের সুর্যটা যায় ডুবে যায়।
মন তুমি আছো পরে মিছে ভাবনায় 💔
একমাত্র গাফেলরাই
আল্লাহ তায়ালার কাছে
চাওয়া থেকে বিরত থাকে।
শক্তির জোরে রিজিক পাওয়া গেলে, বাঘ কোন দিন না খেয়ে থাকত না এবং চড়ুই পাখি রিজিক-ই পেত না!”
রিজিকের ফয়সালা আসমানে হয়, জমিনে নয়।
খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)-এর স্মৃতি শক্তি পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে একশত হাদিস পড়তে বললেন। আর অন্যদিকে একজন লেখককে তা লিখে রাখতে বললেন। সাহাবী আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) একশত হাদিস বললেন আর তা লিখে রাখা হলো। কিন্তু তিনি তা জানতেন না। অতঃপর পরবর্তী বছর আবার তাকে বিগত বছরের শুনানো হাদিসগুলোকে পুনরায় শুনাতে বলা হলো। আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) জীবন্ত টেপ রেকর্ডারের মত হুবহু আগের মত শুনিয়ে দেন। একটি নুকতাও পরিবর্তন হয়নি।
সূত্র: আল ইসাবা
ইসলামিক চেতনা জাগ্রত করার সেরা বাংলা ক্যাপশন
মায়ের কথা পড়লে মনে,
আমার ভীষণ কষ্ট হয়। ☘️
যৌবনের চেহারাটা মানুষ পছন্দ করে। আর যৌবন কালের ইবাদত স্বয়ং আল্লাহ পছন্দ করেন। ❤️🩹
পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ: রাতে শোয়ার আগে তাওবা না করেই ঘুমিয়ে পড়া। আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি।
আমি কখনই একা নই, আল্লাহ 💝
সবসময় আমার সাথে আছেন।
আল্লাহর আনুগত্য কর, আল্লাহ তোমাকে পুরস্কৃত করবেন।
প্রয়োজনের অধিক কথা বলা আত্মমর্যাদা কমিয়ে দেয় ও গোনাহ বাড়িয়ে দেয়।
হারামের টাকায় টেবিল ভর্তি খাবারের চেয়ে, হালাল টাকার সীমিত খাবারের মজাই আলাদা।
সেই নারী সবচেয়ে উত্তম, যে তার যৌবনের সমস্ত ভালোবাসা আমানত রাখে, তার স্বামীর জন্য। ”
একজন নারী যদি জানতো পুরুষ তার দিকে কিভাবে তাকায় তাহলে সে কাপড় দিয়ে নয় বরং লোহা দিয়ে নিজের পোশাক তৈরি করতো।
-হযরত আলী (রা.)
আমরা শ্রেষ্ঠ নবি পেয়েছি, শ্রেষ্ঠ কিতাব পেয়েছি, শ্রেষ্ঠ ধর্ম পেয়েছি, আমরা সত্যিই ভাগ্যবান।
-আলহামদুলিল্লাহ
গোটা পৃথিবীর জল দিয়ে জাহান্নামের আগুন নেভানো যাবেনা, কিন্তু মোনাজাতে আপনার চোখের দুই ফোটা জল জাহান্নামের আগুন নিভিয়ে দেবে।
মোনাজাতের এক ফোটা চোখের পানি একদিন আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে !! ইনশাআল্লাহ !
দোয়া করতেই থাকুন। একদিন না একদিন আল্লাহ আপনাকে সফলতা উপহার দিবেন !
ইনশাআল্লাহ !
কাউকে ঠকিয়ে নিজেকে জ্ঞানী মনে করো না।
সময়ের ব্যাবধানে তুমিও একদিন ঠকে যাবে।
💔
আস্তাগফিরুল্লাহ!
আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
ভালোবাসা কাকে বলে জানো ? আল্লাহকে না দেখেও প্রতিটি সিজদাতে অনুভব করি আমরা, হ্যাঁ – এটাই হলো ভালোবাসা !
সেই মেয়েটি সত্যিই খুব ভাগ্যবতী, যার ভালোবাসার মানুষ মানে তার স্বামীর রোজগার কম হলেও চরিত্র ও ভালোবাসাটা কিন্তু একদম খাঁটি।
চরিত্রহীন স্বামীর সঙ্গে রাজপ্রসাদে থাকার চেয়ে, গরীব আদর্শবান স্বামীর সঙ্গে কুঁড়েঘরে থাকা অনেক সুখের। ❤️
ধৈর্য্য রাখুন, সবাই আপনাকে ঠকালেও মহান আল্লাহপাক আপনাকে কোনদিনও ঠকাবেন না !! ইনশাআল্লাহ !
আমরা শ্রেষ্ঠ নবি পেয়েছি, শ্রেষ্ঠ কিতাব পেয়েছি, শ্রেষ্ঠ ধর্ম পেয়েছি, আমরা সত্যিই ভাগ্যবান। ❤️
-আলহামদুলিল্লাহ
প্রকৃত বুদ্ধিমান তো সে,
যে দুনিয়া ও আখিরাতের পার্থক্যটা বুঝে।
আমরা বলি, আমাদের পাপ বেশি। আল্লাহ্ বলেন, আমি তওবাকারীদের ভালোবাসি।
নামাজ মাটির তৈরি ব্যক্তিকে সোনায় পরিণত করে।
সিজদায় বেশি বেশি দোয়া করো। কেননা সিজদা হচ্ছে দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়।
সত্যি তো এটাই, আপনি সফল না হওয়া পর্যন্ত আপনার ব্যর্থতার কোনো গল্পই কেউ শুনতে চাইবে না !!
রাত যখন গভীর হয়, কেউ ডুবে থাকে পাপে, আর কেউ বা তাহাজ্জুদে অশ্রু ঝরায় পূর্বের গুনাহ মাফে। 💝
“কোনো মানুষ জানেই না আমি তাদের আমলের বিনিময়ে তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কি বস্তু লুকায়িত রেখেছি।”
[আস-সাজদাহ: ১৭]
হারাম কখনো প্রশান্তি এনে দিতে পারে না।
🍀
ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি:
জান্নাতে কখনো কারো মন খারাপ হবে না 💝
যখনই বিপদে পড়েছি,
আমি আমার রব কে পাশে পেয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ ❣️
আমরা অধিকাংশই শুধু মুখে স্বীকার করি যে,
আমরা মারা যাব এবং আল্লাহর সামনে আমাদের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে।
আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই,
তারপর সেই মানুষকে ভয় পাই, যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।
-শেখ সাদী রহ.
সংকীর্ণ পাকস্থলী একটি রুটি দ্বারা পূর্ণ হয়। কিন্তু ক্ষুদ্র চক্ষু লোভীকে সমগ্র দুনিয়ার সম্পদও পূর্ণ করতে পারেনা।
– আল্লামা শেখ সাদী রহ.
” অনবরত পাপ আপনাকে দরিদ্র এবং অসহায় বানিয়ে ছাড়বে। ”
– ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
[আল ফাওয়াইদ , পৃষ্ঠা: ৩৪০]
তোমার মধ্যে যে সকল গুনাবলী না থাকার পরেও যারা সে সকল বিষয়কে অতিরঞ্জিত করে তোমার প্রশংসা করে,
তাহলে নিশ্চিত থাকো যে,
একদিন তারাই আবার তোমার এমন সব মন্দ বিষয় নিয়ে বিষদাগার করবে যেগুলোর সাথে তোমার বিন্দুমাত্রও সম্পর্ক নেই।
– ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ!
আমরা শ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত হতে পেরে গর্বিত।
সুরা কাফিরুন মাত্র ৩ লাইন, সুরা মুনাফিকুন ১৯ লাইন। বাকারায় কাফেরের জন্য মাত্র ২ আয়াত। মুনাফিকেরর জন্য ১৩ আয়াত। মুনাফিক হাজারগুণ বেশি বিপদজনক। কাফের থেকে বাঁচতে হলে একবার ভাবলে, মুনাফিক থেকে বাঁচার জন্য হাজারবার ভাবতে হবে।
– শায়খ আতিকুল্লাহ
এই শহরে প্রচুর অভাব; কারো শিক্ষার,কারো ভাতের কারো মনুষ্যত্বের!
তোমার কীসের অভাব?
শেষ কথা, বাংলা ইসলামিক স্ট্যাটাস ও উক্তিগুলো লেখালেখির অঙ্গনে আপনার প্রয়োজন পূরণে বেশ ভূমিকা পালণ করবে। আপনি এগুলো নির্ধিদায় ব্যবহার করতে পারেন।