বিদায়, একটি শব্দ হলেও এর গভীরতা অসীম। সময়ের পরিক্রমায় সম্পর্কের সেতুতে আসে এই নিষ্ঠুর বিদায়ের মুহূর্ত। স্মৃতির পাতায় আটকে থাকা দিনগুলো যেন বিদায়ের সুরে আমাদের হৃদয়ে কড়া নাড়ে। বিদায় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত সুন্দর বক্তব্য, ছন্দ, ছড়া ও কবিতা কেবল এই মুহূর্তকে নয়, বরং স্মৃতিকে আরো মধুর ও আবেগঘন করে তোলে।
বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য, ছন্দ ও কবিতা
বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্যের সৌন্দর্য বাড়াতে এমন কিছু ছন্দ, ছড়া বা কবিতা বা উক্তির প্রয়োজন; যা স্মরণ করিয়ে দেয় অতীত। যা ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে রাখার উদ্দীপনা যোগায়। আজকে বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্যে যোগ করার মত কিছু খণ্ড অংশ তুলে ধরব।
বিদায় অনুষ্ঠানের হৃদয়স্পর্শী বক্তব্য
-
বিদায় নিতে চায় না মন তবুও বিদায় নিতে হয়। দূরের অতিথি কি ধরে রাখা যায়? যেখানেই থাকব, সামনে রাখবে আখিরাত। দোয়া চাই, শেষ বিদায়ে যেন হয় ইমানের সাক্ষাত।
-
কালের ঘূর্ণাবর্তে পালাবদল ঘটছে সব কিছুর, পরিবর্তন আসছে জীবনের রূপে ও রঙে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে সব কিছু। চেনা পথগুলো অচেনা হয়ে যাচ্ছে। এবার বিদায়ের পালা। সুদীর্ঘ ৯টি বছর কাটিয়েছি তোমাদের সাথে। বিদায় লগ্নে হৃদয় গহীনে অনুভব করছি এক শূন্যতা। স্মৃতি বিজড়িত এ জামিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। মনে কোণে জায়গা দিও আমায়। স্মরণে রেখো আমায়, চলার পথে প্রতিক্ষণে। বিদায় হে প্রিয়!….
-
বিদায় শব্দ বড় কষ্টের অভিজ্ঞতায় পাই, তার চেয়ে ব্যথার কোন শব্দ আর নাই। সহপাঠীদেরকে এ কথা বলতে চাই, আমার সময় ফুরিয়ে গেছে বিদায় দাও আমায়। যখনই শুনি বিদায়ের ধ্বনি, চোখ দুটিতে বয়ে যায় বেদনার পানি, হৃদয়ের মাঝে শত স্মৃতি, কিভাবে দিব বিদায় হে প্রিয় সাথী, দুঃখ কষ্ট, মনের যত বেদনা, বিদায়ের মাঝে শত বেদনা। এ কথা বলে আর শেষ করা যাবে না।
-
বিদায় মানেই কষ্ট, বিরহ বেদনা, বিদায় শব্দটাই নির্দয় নিষ্ঠুর। কিন্তু প্রকৃতির নির্দয় পরিবেশের দরুন বিদায় নিতেই হয়। আলিঙ্গন করতে হয় প্রতিটি বন্ধুকে। ছাত্র জীবন থেকে হোক বা কর্ম জীবন থেকে।
প্রিয় ছাত্র ভাই! ছাত্র জীবনটা আসলেই সুখের জীবন, যাতে নেই কোন পেরেশানি, নেই চিন্তা-ভাব না। প্রিয় ভাই! আজই মনে হয় শেষ দেখা, শেষ কথা বলা।কবে দেখা হয় বলতে পারি না। তাফাররুকটা খুব কষ্টের! দীর্ঘ দিনের এপথ চলায় আপনাদের সাথে একটা ভালো লাগা, ভালোবাসা তৈরি হয়ে গেছে। পাশাপাশি আচরণ-উচ্চারণে অনেক কষ্ট পেয়েছেন। হাঁসি-ঠাট্টায় এবং ইচ্ছা করেও আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। বিশ্বাস করুন ভাই!এগুলো ছিল শুধুই মনোরঞ্জন এবং শয়তানের ধোঁকায় পড়ে। এ জীবন চিরস্থায়ী নয়, পরকালে আপনার একটা অভিযোগ আমাকে আটকিয়ে দিতে পারে। তাই ভাই!শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যারাই আমার ছাত্র ভাই, সকলের কাছেই আমি ক্ষমা প্রার্থী। দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন। আর আপনার প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই, আছে শুধু বুকভরা দোয়া।
ইতি- আপনার ভাই। -
সর্বপ্রথম যখন ঐশী ইলমের সন্ধানে এই জামিয়ায় ইবতিদাইয়্যাহ জামাতে ভর্তি হলাম। তখন মনে হয়েছিল দারুল হাদিস পড়ার অনেক সময় বাকি। কিন্তু না, দেখতে না দেখতেই সময়ের স্রোতে চলে গেল জামিয়াতেই ৯টি বছর। মনের অজান্তেই গড়ে উঠল সকলের সাথে সখ্যতা, ভালোবাসা ও গভীর মুহাব্বত। মনে হয়েছিল সবাই একই মায়ের সন্তান। এভাবেই থাকব চিরকাল। হঠাৎ ভেসে উঠর নিষ্ঠুর বিদায়ের সুর। কষ্ট হচ্ছে, তবুও শাশ্বত নিয়ম মানতেই হচ্ছে। ক্ষমা করো আমায় আর মনে রেখো সবাই।
-
রক্ত সম্পর্ক তুল্য হে প্রিয় বন্ধু! একাকী সন্ধ্যায় যদি কোনো স্মৃতি জীবন স্থবির করে দেয়, সে স্মৃতি তোমাদের। ভাষাহীন রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার স্মৃতি তো তোমাদের গল্প জুড়েই ছড়িয়ে আছে পাতায় পাতায়।
বেখেয়ালি তনুমনে তোমাদের নিষ্পাপ হৃদয়ে কষ্টের আঁচড় কাটা মুহূর্তের জন্য লজ্জিত চিত্তে তোমাদের নিখাদ ভালোবাসা বুকে নিয়ে অভিযোগশূণ্য, বিদায় বেলা কয় ফোটা ভেজা অশ্রু নিবেদন করছি তোমাদের সমীপে। – আলবিদা… -
দেখতে দেখতে কেটে গেল নয়টি বছর। এসে গেলো বিদায়ের পালা। বিদায় শব্দটা এত কষ্টের তা জানা ছিল না। বিদায়ের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সেই কষ্ট আর সহিতে পারছি না। বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। কি বলব তোমাদের হে প্রিয়! যে যেখানেই থাকো, মাকবুল মোনাজাতে আমাকে স্মরণ করিও সবাই।
-
প্রিয় বন্ধু! আজ অতীতের সকল মান-অভিমান ভুলে অশ্রু টলমল চোখে প্রীতির হাত প্রসারিত করলাম। এখন আর অভিমান করো না। কোন অভিযোগ রেখো না। সব কিছু ভুলে আমৃত্যু মনে রাখার প্রত্যয় নিয়ে এবার বিদায় চাচ্ছি চোখের নীরব অশ্রু মুছে হাসিমুখে। এবার বিদায় দাও শিশির ভেজা কোন এক স্নিগ্ধ ভোরে বা কোন এক গোধূলি সন্ধ্যায় আবারও তোমাদের সাথে দেখা হবে সেই প্রতিরক্ষায়… – আলবিদা
-
হে প্রিয় বন্ধুরা! তোমাদের প্রত্যেকের নিখোঁজ প্রতিচ্ছবি হৃদয় ক্যানভাসে এঁকে নেওয়ার পর প্রতিদিন এ পরিচিত মুখগুলোকে এমনভাবে আমাদের বিদায় দিতে হবে- তা কল্পনাও করিনি কখনো। কখনো অনুভব করিনি বিদায় বাস্তবতা এতটাই নির্মম। বিদায়ের চিত্র এতটা করুন। তোমাদের ত্যাগের তীব্র বেদনা আজ যেন আমাদের অন্তরে তুলে দিয়েছে তীব্র সুর –
কত শত স্মৃতি কেঁদে উঠে
বড় স্ব-করুন সুর,
বিরহে কাতর স্মৃতি যেন বলে
বিদায় তুমি বড় নিষ্ঠুর। -
তবুও প্রকৃতির সকল নিষ্ঠুরতাকে উপেক্ষা ধরণীর অমোঘ বিধানটাকে মেনে নিতেই হয়। তাই হদয়ের সবটুকু ভালোবাসা উজাড় করে সকলকে জানাই। – আলবিদা… আলবিদা!
-
বিদায়, যা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। যা আসে সবার জীবনে দুঃখের পাহাড় নিয়ে। ছিন্ন করতে পৃথিবীর বন্ধন। কালের আবর্তনে চলে এলো সে আমাদের মাঝে। ইলাহি রহমে নববী পরশে দরসে হাদিসে ছিলাম সবাই একই বন্ধনে আবদ্ধ। বিদায় এসে ছিন্ন করে দিল সে অমূল্য বন্ধন। এবার চলবে সবাই লক্ষ্য অর্জনে নিজ নিজ পথ।
-
বিদায় শব্দটা খুবই নিষ্ঠুর। বিদায় লগ্নটা খুবই কষ্টের। তাই ভেবেছিলাম নিষ্ঠুর শব্দটা কখনো উচ্চারণ করব না। কষ্টের সময়ে কখনো উপনীত হব না। কিন্তু কালের আবর্তনে ও সময়ের নিষ্ঠুর আচরণে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও পান করতে হচ্ছে বিদায়ী পেয়ালার তিক্ত সুধা। শরিক হতে হচ্ছে বিদায়ী মিছিলে। তাই চোখ ভরা জল, বুক ভরা ব্যথা নিয়ে বলছি ভাই! দোয়া করি যেখানেই থাকো সুখে থাকো সবাই। মাকবুল দোয়ায় স্মরণ রেখো আমায়। বিদায়… বিদায়… বিদায়…
-
বিদায় এমন একটি শব্দ, যা শুনা মাত্রই চেখে আসে জল, মনে আসে ব্যথা, মনে আসে বন্ধুরা তোমাদের কথা। এসে যায় স্মৃতির পাতায় পূর্বের দিনগুলোর কথা। যা ছিল মনের মাঝে ভালোবাসায় গাথা।
বিদায় চাই বিদায় দাও,
এই তো হল প্রথা। মনে রেখো বন্ধুরা,
আমি অধমের কথা।
দোয়া চাই দোয়া করো মাকবুল মুনাজাতে,
আবার যেন দেখা হয় সকলে সেই জান্নাতে। -
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ কাটিয়েছি বন্ধু তোমাদের সাথে। কোন কথা বা কাজে কষ্ট পেলে রেখো না তা হৃদয়ে গেঁথে। দোয়ার পাশা-পাশি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি রেখো আমার প্রতি। অতীতের ত্রুটি বিচ্যুতি ভুলে গিয়ে মনে রেখো সহায় সম্প্রীতি।
-
বিদায়ী সুরে আজ হয়েছে হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত। সে হৃদয়ে অধম আজ ক্ষমা প্রত্যাশিত। হাঁটি-হাঁটি করে চলার পথে করেছি কত ভুল। সে ভুলের কারণে আজ হৃদয় ব্যাকুল। ভুলগুলো ভুলে দিও ক্ষমা করে সারা জীবন রবে তোমরা হৃদয় গহীনে।
বিদায় অনুষ্ঠানের ছন্দ ও কবিতা
-
কত শত স্মৃতি কেঁদে উঠেবড় স্ব-করুন সুর,
বিরহে কাতর স্মৃতি যেন বলে
বিদায় তুমি বড় নিষ্ঠুর। -
বন্ধু মোদের দিন ফুরালো,
এবার যাবার পালা।
হাসি মুখে নিলাম বিদায়,
লুকিয়ে মনের জ্বালা। -
হয়তো বা কেউ জ্ঞানের আলোয় রাঙ্গাতে ভুবন,
বাতিলের বিনাশে কেউ লড়বে তখন।
পথহারা জাতিকেও আনবে পথে,
আর্জি শেষে খোদার কাছে।
সদা থাকি মোরা দ্বীনের পথে….
মধু সংগ্রহে মৌমাছি হয়ে এসেছি এই মৌচাকে।
এ কানন ছেড়ে যাবো আজ ফিরে হবে না তা কভু খালি,
আসবে আবার কত জ্ঞানের সুধা সন্ধানী মালী।
এখানে প্রতিটি বালুকণা ঘিরে রয়েছে মোদের প্রীতি,
ক্ষণিকের এই ব্যবধানে আজ হয়ে গেছে তাও স্মৃতি।
ঘুরে ঘুরে আজ শুনছি আওয়াজ বিদায়ী করুণ সুর,
বড় নিষ্ঠুর হে বিদায় তুমি কতটা বেদনা বিধুর।
ভগ্ন হৃদয়ে যাপিয়ে কষ্ট বিরহের ক্রন্দন
অমর অটুট রেখো হে বিধাতা আমাদের বন্ধন। -
বিদায় চাই বিদায় দাও,
এই তো হল প্রথা। মনে রেখো বন্ধুরা,
আমি অধমের কথা।
দোয়া চাই দোয়া করো মাকবুল মুনাজাতে,
আবার যেন দেখা হয় সকলে সেই জান্নাতে।
বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ উক্তি
-
সুন্দর বিদায় হল ক্ষতি না করে বিদায় নেওয়া। সুন্দর ক্ষমা হল বকা না দিয়ে ক্ষমা করা। সুন্দর ধৈর্য হল অভিযোগ না রেখে ধৈর্যধারণ করা। – শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া।
মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
-
বেহেশতের পথযাত্রী আমরা এক কাফেলা। ইলমের তলবেই কুরআনী বাগিচায় আমাদের এই মিলন-মেলা। মনের অজান্তেই হৃদয় গহীনে পরস্পর গেঁথে ছিলাম প্রেমের মালা। ফলে একই সাথে জমে থাকতাম সাঁঝ-সকালে কুরআন সুন্নাহর অধ্যবসায়। আবার একচ্ছভাবে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া ফেলতাম বিকেল বেলার খেলাধুলায়। কিন্তু এই বন্ধুত্বপূর্ণ স্বাধীন, অভিলাষী জীবন যাত্রায় হঠাৎ বিচ্ছেদের ঘণ্টা বাজিয়ে দিলো এক রুদ্ধস্বভাবী “বিদায়”। ভগ্ন হৃদয়ে বিদায়ের অসহ্য গ্লানি নিয়ে এই প্রস্থান কালে বন্ধু তোমাদের বলে যাই। বাহ্যত বিচ্ছেদ হলেও অন্তর থেকে ভুলিনি তোমাদের। ভুলনা কিন্তু আমায়।
-
শত মায়ার বাধন ছিন্ন করে ইলমে ওহীর অমিয় সুধার লিপ্সায় হন্যে হয়ে ছুটে এসেছিলাম কুরআন সুন্নাহর পাঠশালায়। ছাত্র-উস্তাদ সকলে মিলে সৌহার্দের মোহনায় একাকার হয়ে মধু মক্ষিকার ন্যায় ব্যস্ত ছিলাম। ইলমে ওহীর মৌ আহরণের নিমগ্নতায়। এরই মধ্যে হঠাৎ কড়া নেড়ে উঠল অপ্রীতিকর একটি শব্দ ‘বিদায়’! যা হৃষ্টতা ও হৃদ্যতার সেতু বন্ধন ছিন্নকারী অসভ্য এক বায়ারা। নিয়তির বড় দুর্ব্যবহারের কারণেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও কানে নিতে হচ্ছে বিদায়ের শ্রুতিকটু কথা এবং সাড়া দিতেই হচ্ছে তার ডাকে চেপে রেখে হৃদয়ের শত যাতনা ও বিয়োগ ব্যথা।
তবে বন্ধু! স্বার্থের সুবাদে, জীবিকার তাকিদে যে যেখানেই থাকবে। মোনাজাতে মাকবুলে ও শান্তি মুখর স্মৃতির এ্যালবামে আমাকেও কিন্তু সাথে রাখবে। অবশেষে সুদীর্ঘ কালের জোড়ালো এই মিলন মেলার বিচ্ছেদ লগ্নে একটি ব্যথিত আত্মার বেদনা বিধুর একটি আর্জি… শুনো ভাই! বাদানুবাদ ও মনোমালিন্যের কথা ভুলে গিয়ে পরস্পর সখ্যতা ও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি রাখা চাই। চলে যাই বন্ধু, ভালো থেকো, সুখে থেকো। বিদায়… বিদায়… বিদায়।
বিদায় অনুষ্ঠানের ছন্দ, বাক্য ও কবিতা – PDF ডাউনলোড করুন
বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য মন ছুঁয়ে যাওয়া ছন্দ, বাক্য ও কবিতার একটি সমৃদ্ধ সংগ্রহ আমরা তৈরি করেছি। এই সংগ্রহ থেকে আপনি পছন্দসই বক্তব্য ও কবিতা বেছে নিতে পারবেন। বিদায় বেলার স্মৃতিকে আরও হৃদয়গ্রাহী করতে এটি অত্যন্ত সহায়ক হবে।
📥 ডাউনলোড করুন:
বিদায় অনুষ্ঠানের ছন্দ, বাক্য ও কবিতা PDF
কী পাবেন এই PDF-এ?
- হৃদয়স্পর্শী বক্তব্য
- আবেগঘন ছন্দ
- স্মৃতি রোমন্থনকারী কবিতা
- বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার বার্তা
-
ইলমে ইলাহী ও রিসালাতের অমিয় খুশবুতে বিমোহিত হয়ে প্রায় অর্ধ যুগ পূর্বে আমরা এসেছিলাম এই ইলমী উদ্যানে। নশ্বর পৃথিবী নামক জগতের চোরাবালিতে স্থাপিত জাগতিক শিক্ষা নিকেতনে যাইনি।স্থান করিনি মন ভুলানো কারুকার্য খচিত কোন বিদ্যালয়ে। ছুটিনি পার্থিব মরীচিকার পেছনে। বরং একান্ত আপন করে নিয়েছিলাম ইলমে দ্বীনকে। কিন্তু আজ শিক্ষা নিবাস পালা শেষ হতে না হতেই সেই ইলমে উদ্যান থেকে বিদায়ের সিঁড়িতে পা রেখে কর্তব্যের খাতিরে বিদায়ী ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে চললাম আমরা দ্বীনের বিশাল কর্মময় ময়দানে নববী দায়িত্ব পালনের বৃহত্তর অঙ্গনে। বিদায় নিতে চাহে না তো মন। তবুও আজ এসেছে বিদায়ের ক্ষণ। জানি! নশ্বর এ বসুন্ধরায় কেউ নয় চিরস্থায়ী। কিন্তু তাই বলে কি এ জীবন মধ্যাহ্নে বিদায় সুকনিয় বাজাই গলার আওয়াজ শুনতে হবে তা কখনও ভাবতে পারিনি।
-
হে প্রিয় জামিয়া! দীর্ঘ দিন ছিলাম তোমার কোলে পৃথিবীর চির চারিত নিয়ম অনুযায়ী। বিদায় নিতে হচ্ছে আজ তোমাদের ছেড়ে।তোমার শিক্ষা, তোমার আদর্শ, তোমাকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য উদ্দেশ্যে তথা ই’লায়ে কালিমাতুল্লাহ, ইহয়ায়ে সুন্নতে রাসুলিল্লাহ ও দাওয়াত ইলাল্লাহর মিশন আলোকিত হয়ে ফুটে উঠুক আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে। বিদায় বেলায় অশ্রুসিক্ত নয়নে এই আমার আকুতি। রব্বে কারীমের দরবারে। আমিন।
উপরোক্ত হৃদয়স্পর্শী বক্তব্য, ছন্দ এবং কবিতাগুলো বিদায় অনুষ্ঠানে আপনাকে একটি বিশেষ আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করবে।
চলমান বক্তৃতায় এই উপাদানগুলো যুক্ত করে সহজেই আপনি আপনার বক্তব্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। এছাড়াও, এই ছন্দ ও কবিতাগুলো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, বিদায় বার্তা বা স্মরণীয় কথামালায় ব্যবহার করে মনের আবেগকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারেন।
স্মৃতির মাধুর্য ধরে রাখুন এবং বিদায়ের মুহূর্তকে মধুর করে তুলুন!
বিদায় অনুষ্ঠানে এই সেরা বক্তব্য, ছন্দ ও কবিতাগুলো আপনার সঙ্গী হোক। 🌸