• ফতোয়া জিজ্ঞাসা করুন
  • আমাদের সম্পর্কে
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
Thursday, May 22, 2025
কোনো ফলাফল উপলভ্য নয়।
সকল প্রবন্ধ দেখুন
NEWSLETTER
মাদাহবিডি
  • মূল পাতা
  • ইসলাম ও জীবন
    • আমল
    • হাদিস
  • ইসলামী অর্থনীতিনতুন
  • ফতোয়া ও মাসআলা-মাসায়েল
  • জীবণী
    • নবীজি সা.
      • মক্কী জীবনী
      • মাদানী জীবনী
      • যুদ্ধ
    • উম্মাহাতুল মুমিনীন
    • সাহাবী
    • তাবেয়ী
    • আকাবির ও মনীষী
  • ইতিহাস
  • ডাউনলোড
  • প্রযুক্তি
  • বাংলা ফন্ট
  • অন্যান্য
    • সম্পাদকীয়
    • বাংলা ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • টুকরো পাতা
    • রিভিউ
  • মূল পাতা
  • ইসলাম ও জীবন
    • আমল
    • হাদিস
  • ইসলামী অর্থনীতিনতুন
  • ফতোয়া ও মাসআলা-মাসায়েল
  • জীবণী
    • নবীজি সা.
      • মক্কী জীবনী
      • মাদানী জীবনী
      • যুদ্ধ
    • উম্মাহাতুল মুমিনীন
    • সাহাবী
    • তাবেয়ী
    • আকাবির ও মনীষী
  • ইতিহাস
  • ডাউনলোড
  • প্রযুক্তি
  • বাংলা ফন্ট
  • অন্যান্য
    • সম্পাদকীয়
    • বাংলা ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • টুকরো পাতা
    • রিভিউ
কোনো ফলাফল উপলভ্য নয়।
সকল প্রবন্ধ দেখুন
মাদাহবিডি
কোনো ফলাফল উপলভ্য নয়।
সকল প্রবন্ধ দেখুন
মূল পাতা ইসলাম ও জীবন ইসলামী অর্থনীতি

AAOIFI (অ্যাওফি): প্রতিষ্ঠা, লক্ষ্য ও শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ড

লিখেছেন: মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম
March 19, 2025
বিভাগ: ইসলামী অর্থনীতি
A A
AAOIFI (অ্যাওফি): ইসলামী অর্থব্যবস্থা ও শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ড

AAIOFI (অ্যাওফি) ইসলামিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য শরীয়া সম্মত একাউন্টিং ও অডিটিং মানদণ্ড প্রণয়ন করে।

0
শেয়ার
37
দেখেছেন
Share on FacebookShare on Twitter

১৯৬৩ সালে মিশরের মিটগামারে সর্বপ্রথম সুদমুক্ত সেভিংস ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে সুদানে ফয়সাল ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক সর্বপ্রথম ইসলামী বীমা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে বিশ্বব্যাপী ইসলামী ব্যাংকের বিসৃতি ঘটে।

ইসলামিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একাউন্টিং ও অডিটিং পদ্ধতি সুদি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুদমুক্ত আর্থিক প্রতিষ্টানকে সঠিকভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে এর জন্য স্বতন্ত্র অডিটিং ও একাউন্টিং মানদণ্ড প্রস্তুত করার বিষয়টি উলামায়ে কেরামের নিকট মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। সেই প্রয়োজনকে সামনে রেখে AAOIFI (Accounting and Auditing Organization for Islamic Financial Institutions) এর যাত্রা শুরু হয়। AAOIFI (অ্যাওফি) এর আররি নাম: “هيئة المحاسبة والمراجعة للمؤسسات المالية الإسلامية” অর্থাৎ, ইসলামিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য তাদের হিসেব-নিকাশ ও যাচাই-যাছাই সংক্রান্ত মানদণ্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।

AAOIFI প্রতিষ্ঠা:

১৯৮৭ সাথে ইস্তান্বুলে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের গভর্ণরদের উপস্থিতিতে একটি বার্ষিক কনভারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। তাতে Islamic Development Bank (IsDB) এর পক্ষ থেকে একটি বিশদ ‘ওয়ার্ক পেপার’ উপস্থাপন করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল ইসলামিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য স্বতন্ত্র একাউন্টিং মানদণ্ড তৈরির লক্ষ্যে বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ ও এর জন্য একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা। সর্বসম্মতিক্রমে তাদের এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ওয়ার্কপেপার অনুযায়ী ৬টি প্রতিষ্ঠান সদস্য হিসেবে এগিয়ে আসে।

  • Islamic Development Bank (IsDB)
  • Darul Maal Al Islami Trust (دار المال الإسلامي)
  • Al Rajehi Bank (مصرع الراجحي)
  • Dallal Al Baraka Holding Company (مجموع الدلة البركة)
  • Kuwait Finance House (بيت التمويل الكويتي)
  • Albukhary Foundation

প্রতিষ্ঠাকাল:

১ সফর, ১৪১০ হিজরী মোতাবেক ১৯৯০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী আলজেরিয়ায় AAIOFI (অ্যাওফি) প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ১১ রমজান ১৪১১ হিজরী মোতাবেক ২৭শে মার্চ ১৯৯১ সালে বাহরাইনের রাজধানী মানামায় একটি অলাভজনক দাতব্য সংস্থা হিসেবে রেজিষ্টার সম্পন্ন হয়।

AAOIFI এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

১. মানদণ্ড রচনা ও প্রকাশ: একাউন্টিং, অডিটিং, শরীয়াহ ইত্যাদি বিষয়ে স্বতন্ত্র মানদণ্ড রচনা ও প্রকাশ করা।
২. মানদণ্ড রিভিউ: প্রকাশিত মানদণ্ডসমূহ নিয়মিত পুনঃনীরিক্ষণ ও সংযোজন-বিযোজন করা।
৩. গভেষণা: একাউন্টিং ও অডিটিং নিয়ে প্রতিনিয়ত গভেষণা করা।
৪. প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান: ইসলামিক ফাইনান্সের ওপর সুদমুক্ত ইসলামী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

AAOIFI শরীয়াহ বোর্ড প্রতিষ্ঠা ও বোর্ডের সদস্যবৃন্দ:

১৯৯৯ সালে AAOIFI (অ্যাওফি) المجلس الشرعي মানে স্বতন্ত্র শাখা চালু করে। এ্যাওফির নীতি অনুযায়ী শাখার সদস্য হবে সর্বোচ্চ ২০ জন (প্রধান ব্যাতীত।) শুরু থেকে এ পর্যন্ত এ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন শায়েখ তাকী উসমানী হাফি.।

অ্যাওফির শরীয়াহ বোর্ডের সদস্য হওয়ার জন্য মৌলিক দুটি গুণাবলি থাকা আবশ্যক।

ক. ফকীহ হওয়া।
খ. ইসলামি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরীয়াহ বোর্ডের সদস্য হওয়া।

যেভাবে AAOIFI (অ্যাওফি) এর স্ট্যান্ডার্ড রচিত হয়:

AAOIFI থেকে প্রকাশিত শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ডগুলো তিনভাগে বিভক্ত। ক. প্রাথমিক খসড়া। খ. চূড়ান্ত সংস্করণ। গ. সংশোধিত সংস্করণ।

শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ড রচনায় অনুসৃত বিভিন্ন ধাপ:

১. বোর্ড কর্তৃক বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়।

২. কুরআন-হাদিস ও ফিকহী মাজহাবের আলোকে একজন আলেম বিস্তারিত প্রবন্ধ প্রস্তুত করেন এবং নবউত্থাপিত বিভিন্ন মাসায়েল ও সেই সাথে সমকালীন উমালাদের মতামত উল্লেখ করেন।

৩. বিশেষ কমিটি সেই প্রবন্ধটি পর্যালোচনা করেন।

৪. পর্যালোচনা শেষে ওই আলেম বা অন্য আলেমকে একটি খসড়া মানদণ্ড প্রস্তুত করার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়।

৫. সাব-কমিটির কাছে উক্ত খসড়া পেশ করা হয় এবং পর্যালোচনা করা হয়।

৬. সাব-কমিটি কর্তৃক উক্ত খসড়াটি পরিমার্জন করা হয়।

৭. সংশোধিত ও পরিমার্জিত খসড়াটি বোর্ডের কাছে পেশ করা হয়। সেখানে সবার ঐক্যমতে বা অধিকাংশের ঐক্যমতে খড়সাটি শরীয়াহ বোর্ডের কাছে পেশ করার জন্য চূড়ান্ত করা হয়।

৮. এরপর ‘শুনানী মসলিস’ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বহিঃবিশ্বের বিজ্ঞ ফকিহ, বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর উপস্থিত থাকেন।

৯. শুনানী মজলিসের মতামত ও আপত্তিগুলো সংরক্ষণ করা হয় এবং এরপর সে আলোকে প্রস্তাবিত মানদণ্ডটি পুনরায় পরিমার্জন করা হয়।

১০. খসড়া কমিটির কাছে বাক্যের কাঠানো ও উপস্থাপনা ভঙ্গি চূড়ান্ত করার জন্য পেশ করা হয়।

১১. সবশেষে এর প্রাথমিক কপি প্রকাশ করা হয় এবং বিভিন্ন মতামতের আলোকে সময়ে সময়ে সেটি পরিমার্জন করা হয়।

AAOIFI এর শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ডের বৈশিষ্ট্য:

১. মানদণ্ডের প্রতিটি ধারা পূর্বে বর্ণিত ১১ টি পদ্ধতি অবলম্বন করে লেখা হয়।
২. নির্দিষ্ট কোনো মাজহাবের উপর সীমাবদ্ধ নয়। বরং বাস্তবতা বিবেচনায় যুগোপযোগী মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।
৩. সকল ফিকহের সারনির্যাস উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
৪. কদীম মাসআলার সাথে জাদীদ মাসআলার সমন্বয় করা হয়।
৫. সুদ গ্রহণের নানা হিলা লেনদেন থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে।
৬. সুদের দিকে নিয়ে যেতে পারে – এমন কার্যক্রমের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়।
৭. প্রতিটি মানদণ্ডের সাথে দলিলিক সূত্র উল্লেখ করা হয়েছে।
৮. সহজবোধ্য ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
৯. প্রতিটি মানদণ্ড পরিচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ ও ধারা আকারে সাজানো হয়েছে।
১০. প্রকাশিত মানদণ্ডগুলো সংশোধন করে পুনঃপ্রকাশ করা হয়।
১১. মেদহীনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

যেসব দেশে এ্যাওফি শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ডসমূহ মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ হয়:

২০২২ সালের মে মাসের তথ্য অনুযায়ী এ্যাওফি শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ডসমূহ বিশ্বের ১৬টি দেশে পুরোপুরি অনুসরণ করা হয়। ১৮ টি দেশে একাউন্টিং মানদণ্ড ও ১৫ টি দেশে গভর্নেন্স মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়।

তথ্যসূত্র: ইসলামের অর্থব্যবস্থা : ০১
মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম

মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম

মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম — লেখক, পাঠক, বর্ণপ্রেমী ও শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ‘আত-তাখাসসুস ফিল ফিকহি ওয়াল ইফতা’ বিভাগের ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত। ইসলামী অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি দুই শতাধিক প্রবন্ধ লিখেছেন।

  • মূল পাতা
  • আমাদের সম্পর্কে
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
  • ফতোয়া জিজ্ঞাসা করুন
যোগাযোগ: +৮৮ ০১৭৩৩০৮৯৫৭৩

© ২০২৫ মাদাহবিডি - কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সম্পাদক ও প্রকাশক: মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম

কোনো ফলাফল উপলভ্য নয়।
সকল প্রবন্ধ দেখুন
  • মূল পাতা
  • ইসলাম ও জীবন
    • আমল
    • হাদিস
  • ইসলামী অর্থনীতি
  • ফতোয়া ও মাসআলা-মাসায়েল
  • জীবণী
    • নবীজি সা.
      • মক্কী জীবনী
      • মাদানী জীবনী
      • যুদ্ধ
    • উম্মাহাতুল মুমিনীন
    • সাহাবী
    • তাবেয়ী
    • আকাবির ও মনীষী
  • ইতিহাস
  • ডাউনলোড
  • প্রযুক্তি
  • বাংলা ফন্ট
  • অন্যান্য
    • সম্পাদকীয়
    • বাংলা ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • টুকরো পাতা
    • রিভিউ

© ২০২৫ মাদাহবিডি - কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সম্পাদক ও প্রকাশক: মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম