আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীমের বহু জায়গায় সিজদার কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: وَ اسۡجُدۡ وَ اقۡتَرِبۡ `সিজদা করো এবং নিকটবর্তী হও।’ সিজদাহ দ্বীনি দৃষ্টিকোণ থেকে কেবল ইবাদতই নই বরং এতে রয়েছে মানবীয় জীবনের অশেষ কল্যাণ। সিজদায় মানবদেহের বায়ো ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সাথে পৃথিবীর জিও ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সংযোগের অপূর্ব বন্ধন তৈরি হয়। কাজেই শুধু ইবাদত হিসেবে নয়, বরং ইবাদতের পাশাপাশি অফুরন্ত নিয়ামত হিসেবে সিজদাহ উপভোগ করা যেতে পারে।
‘সিজদার বিজ্ঞান’ জিয়াউল হক-এর লেখা অনন্য গ্রন্থ; যাতে সিজদার পটভূমি, মানব মস্তিষ্কের গঠন প্রকৃতি ও কর্মপ্রক্রিয়া, মানব মস্তিষ্কের জৈব রসায়ন; রিলেক্সেশন থেরাপি, জীবব্রিদিং থেরাপি, ইলেকট্রো কনভালসিভ থেরাপির বিকল্প হিসেবে সিজদাহ ও তার কার্যকারিতা নিয়ে সুবিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এক কথায় বইটির বিষয়বস্তু ও আলোচনা অনন্য।
সিজদার পটভূমি, মানব মস্তিষ্কের গঠন প্রকৃতি থেকে সিজদার কার্যকারিতা ও সংশ্লিষ্ট আয়াত… পুরো বই জুড়ে এক অনন্য বিষয় তুলে ধরেছেন; যা অজানা তথ্যের সন্ধান দেয়।
বইটি কাদের জন্য:
প্রথমত বইটির বিষয়বস্তু দুর্বধ্যতা মুক্ত, পাঠ উপযোগী শৈলীতে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে বইটি ধর্মানুরাগী সর্বস্তরের পাঠকের পাঠ উপযোগী। ‘সিজদার বিজ্ঞান’ পাঠ-পরবর্তী পাঠকের চিন্তা ধারায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষণীয়।
বই থেকে নির্বাচিত অংশ:
বোধ-বিশ্বাস, তথা ঈমান এবং সেই সাথে আন্তরিকতা (ভয়, ভালোবাসা মেশানো আবেগ) ছাড়া মাটিতে মাথা ঠেকানো প্রণাম, প্রণিপাতসহ অনেক কিছুই হতে পারে। কিন্তু সেটা সিজদাহ হবে না, অন্তত সেই সিজদাহ হবে না, যে সিজদাহর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আমরা আদিষ্ট হয়েছি। [পৃষ্ঠা- ১৩]
সিজদাহ আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে বিদ্যমান ও সদা প্রবহমান বৈদ্যুতিক প্রবাহকে একটা সুস্থ ও কল্যাণকর মাত্রার মধ্যে গণ্ডিবদ্ধ থাকতে সহায়তা করে। সিজদাহ আমাদেরকে উন্নত। ব্রেনের, চৌকস ব্রেনের অধিকারী বানায়। [পৃষ্ঠা- ৫৩]
চিকিৎসাবিজ্ঞান সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে, একজন মানবসন্তানের ফ্রন্টাল লোব সাত বছর বয়স থেকে কাজ শুরু করে। আর ঠিক সাত বছর বয়স থেকে রাসুল সা. নামাজের প্রতি উৎসাহিত করেছেন। (আংশিক পরিমার্জন) [পৃষ্ঠা- ৬৪]
মতামত পর্যালোচনা
সিজদার বিজ্ঞান
‘সিজদার বিজ্ঞান’ জিয়াউল হক-এর লেখা গ্রন্থ; যাতে রিলেক্সেশন থেরাপি এবং জীবব্রিদিং থেরাপির বিকল্প হিসেবে সিজদাহর কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
নেতিবাচক
- ৬৪ পৃষ্ঠায় লেখক তথ্যগত ভুল করেছন। বছর বয়স থেকে আল্লাহ তায়ালা সিজদার আদেশ দেননি। বরং সাত বছর থেকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এই একটি মাত্র জায়গা ব্যতীত অন্য কোথাও এ ধরনের বুল চোখে পড়েনি।