মোট দুইবার রাসুল সা. এর বক্ষ বিদারণ হয়েছিল। প্রথমবার বক্ষ বিদারণ হয় শৈশব কালে আর দ্বিতীয়বার বক্ষ বিদারণ হয় মেরাজ গমনকালে। শয়তানের বদ আছর, অশ্লীলতা সহ সকল প্রকার মন্দ অন্তর থেকে দূর করার জন্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুল সা. কে বক্ষ বিদারণ করা হয়।
রাসুল সা. এর বক্ষ বিদারণের বিবরণ:
রাসুল সা. দুধ পানের সময়সীমা অতিক্রম করার পর বনু সাদে অবস্থান করছিলেন। রাসুল সা. তার সাথী সঙ্গীদের সাথে খেলা করছিলেন। এরই মধ্যে জিব্রাইল আ. এসে হাজির হন। রাসুল সা. কে সেখান থেকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে চিৎ করে শুইয়ে দেন এবং তার বক্ষ থেকে হৃৎপিণ্ড বের করে আনেন। সেখান থেকে কিছুটা জমাট বাধা রক্ত বের করে বলেন: এটি শয়তানের অংশ, যা তোমার মধ্যে ছিল। এরপর হৃৎপিণ্ডটি সোনার পাত্রে রেখে জমজম পানি দ্বারা ধৌত করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন করে জোড়া লাগিয়ে দেন।
এ সময় রাসুল সা. এর দুধ ভাই দৌড়ে এসে হালিমা সাদিয়া রা.-এর নিকট বিষয়টি সম্পর্কে সংবাদ দেন। তিনি দৌড়ে এসে দেখেন রাসুল সা.-এর মুখ ভয়ে ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করেছে। তিনি রাসুল সা. থেকে ভয় দূর করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার পর তিনি মক্কায় রাসু সা. কে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন।
দ্বিতীয়বার বক্ষ বিদারণের ঘটনা:
আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: আমি মক্কায় অবস্থানকালে ঘরের ছাদ ফাঁক করা হল এবং জিবরাইল (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করলেন। এরপর তিনি আমার বক্ষ বিদারণ করলেন এবং তা যমযমের পানি দ্বারা ধুলেন, এরপর ইমান ও হিকমতে পরিপূর্ণ একটি সোনার পেয়ালা নিয়ে এলেন এবং তা আমার বুকে ঢেলে দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিলেন। তারপর আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে দুনিয়ার আসমানে গেলেন এবং জিবরাইল (আলাইহিস সালাম) এই আসমানের তত্ত্বাবধানকারী ফিরিশতাকে বললেন, (দরজা) খোল। তিনি বললেন কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাইল। [বুখারী – ১৫৩৬]