রাসুল সা. চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হলে তার উপর ওহী নাজিলের সূচনা হয়। ওহী নাজিলের পূর্বে রাসুল সা. হেরা গুহায় আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। একাধারে দীর্ঘদিন হেরা গুহায় অবস্থান করতেন। সেখানে তিনি সাইয়্যিদুনা ইবরাহীম আ.-এর দ্বীনি নীতি অনুসারে ইবাদত করতেন। অবসরে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নবুওয়াতের সুসংবাদ দেওয়া হলো। তিনি নবুওয়াত লাভ করলেন। এ প্রবন্ধে রাসুল সা.-এর উপর ওহী নাজির হওয়ার পদ্ধতিগুলো জানব।
ওহী বলা হয়: আল্লাহ তায়ালার কালামকে, যা নবী-রাসুলগণের উপর প্রেরিত করা হয়। ওহী কেবল নবী-রাসুলগণের উপর প্রেরণ করা হয়। কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى
”এভাবে নিজ বান্দার প্রতি আল্লাহর যে ওহী নাযিল করার ছিল তা নাযিল করলেন।” – [আন-নাজ্ম: ১০]
রাসুল সা. এর উপর ওহী নাজিলের পদ্ধতি:
রাসুল সা. এর উপর ৬ পদ্ধতিতে ওহী নাজিল হতো।
- ঘণ্টার আওয়াজের মতো গুনগুন শব্দ করে। এ অবস্থায় রাসুল সা. এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে যেত। এ প্রকারের ওহী নাজিল রাসুল সা. এর জন্য সবচেয়ে কঠিন ছিল।
- জিব্রিল আ. মানুষের আকৃতিতে এসে ওহী নাজিল করতেন। এ পদ্ধতিতে ওহী নাজিল হওয়া রাসুল সা. এর জন্য সহজ ছিল। জিব্রিল আ. হযরত দিহইয়া কাবলী রা. এর আকৃতিতে রাসুল সা. এর নিকট আগমন করতেন।
- জিব্রিল আ. নিজ আকৃতিতে এসে চলে আসতেন।
- স্বয়ং আল্লাহ কোন মাধ্যম ব্যতীত রাসুল সা. এর সাথে কথা বলতেন।
- আল্লাহ কর্তৃক রাসুল সা. এর অন্তরে ওহী ঢেলে দেওয়া হত।
- ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নে ওহী অবতীর্ন হত।