উচ্চ স্বরে ক্রন্দন করা গর্হিত কাজের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে, মৃত ব্যক্তির জন্য উচ্চ স্বরে বিলাপ করে ক্রন্দনের ব্যাপারে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং এর থেকে বিরত থাকা সকল মুমিন মুসলমানের উপর অবশ্য কর্তব্য।
যে সকল কারণে ক্রন্দনের দ্বারা মৃত ব্যক্তির শাস্তি হয় সে সকল কারণগুলো নিন্মে উল্লেখ করা হল:
বিলাপ করে ক্রন্দনের কারণে মৃত ব্যক্তির শাস্তির কারণগুলো:
১. যদি মৃত ব্যক্তি ক্রন্দনের জন্য অসিয়ত করে যায় যে, তার মৃত্যুর পর পরিবার পরিজন যেন ক্রন্দন করে। তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।
২. মৃত ব্যক্তি জানত যে, তার মৃত্যুর পর তার পরিবার পরিজন বিলাপ করে ক্রন্দন করবে। কিন্তু সে এ ব্যাপারে নিষেধ করেনি। তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।
৩. মৃত ব্যক্তি যদি জীবদ্দশায় এভাবে ক্রন্দন করত বা এ কাজে অভ্যস্ত ছিল। তাহলে মৃত্যুর পর তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।
৪. কাফেরদেরকে মৃত্যুকালীন মুহূর্তে শাস্তি সময়ে দেওয়া হবে।
৫. যখন মৃত্যু ব্যক্তির এমন প্রশংসা করা হয়, অথচ বাস্তবে তার মাঝে এরূপ গুন ছিল না। তখন শাস্তি দেওয়া হবে।
মৃত ব্যক্তির শাস্তি সংক্রান্ত হাদিস:
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে; রাসুল (সা.) বলেন,
وَإِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ
পরিবার পরিজনের ক্রন্দনের কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয়। উক্ত হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে, ক্রন্দনের কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয়। উক্ত হাদিসটি বুখারী, তিরমিজী সহ হাদিসের বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।
উলামায়ে কেরামগণ উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যা এভাবে করেন যে, যদি মৃত ব্যক্তি তার মৃত্যুর পর বিলাপ করে কান্নার ব্যপারে অসিয়ত করে বা অনুমোদন দেয়। তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। আর উপরোক্ত হাদিসে ক্রন্দন করার দ্বারা উচ্চ আওয়াজে বিলাপ করে ক্রন্দন করা উদ্দেশ্যে।