বালেগ ও নাবালেগ শব্দ দুটি ইসলামি ফিকহ শাস্ত্রের পরিভাষা। মূলত বালেগ (আরবি: بالغ) শব্দটির অর্থ: পরিপক্ব। ইসলামি ফিকহের পরিভাষায়, ছেলে-মেয়ের মাঝে নির্দিষ্ট কিছু আলামত (নিদর্শন) প্রকাশ পাওয়া বা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌঁছার দ্বারা এটি নির্ধারণ হয়।
বালেগ হওয়ার আলামতগুলো কী কী?
নাবালেগ ছেলে-মেয়ে শরিয়তের দৃষ্টিতে নিষ্পাপ হয়ে থাকে। বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছেলে ও মেয়ে উভয়েই ইসলামি শরিয়তে নাবালেগ হিসেবে গণ্য হয়। অর্থাৎ শরিয়তের বিধি-বিধান পালন করা তার উপর ওয়াজিব হয় না। কিন্তু বালেগ হওয়ার হওয়ার প্রকাশ পাওয়ার পর শরিয়তের বিধি-বিধান পালন করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। আদিষ্ট বিধান পালন করার দ্বারা সাওয়াব অর্জনকারী হিসেবে গণ্য হবে; আর পালন না করলে গোনাহগার হবে। বালেগ হওয়ার পর ছেলে-মেয়ে উভয়ের উপর পর্দা, নামাজ, রোজাসহ সকল ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বিধান আবশ্যক হয়ে যায়। তাই বালেগ হওয়ার আলামতগুলো জেনে নেওয়া দরকার।
ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত:
ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত হলো: ১. স্বপ্নদোষ হওয়া। ২. বীর্যপাত হওয়া।
মেয়েদের বালেগ হওয়ার আলামত:
মেয়েদের বালেগ হওয়ার আলামত হলো: ১. স্বপ্নদোষ হওয়া। ২. হায়েজ হওয়া। ৩. গর্ভধারণ করা।
বালেগ হওয়ার আলামত না পাওয়া গেলে…
যদি ছেলে বা মেয়ের মাঝে বালেগ হওয়ার আলামত না পাওয়া গেলে, নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌঁছলে তাকে বালেগ হিসেবে গণ্য করা হবে। নির্দিষ্ট বয়সসীমা হলো: হিজরি সন হিসেবে প্রত্যেকের বয়স ১৫ বছর পূর্ণ হওয়া। অর্থাৎ উল্লিখিত আলামত না পাওয়া গেলে হিজরি সন হিসেবে ছেলে বা মেয়ের বয়স ১৫ বছর হলে তাকে বালেগ হিসেবে গণ্য করা হবে।