হাজী সাহেবগণ হজ্জ বা উমরা পালনের পর মদিনায় কিছুদিন অবস্থান করেন। এ সময়ে তাঁরা মসজিদে নববীতে সালাত আদায়, নবীজির রওজা জিয়ারত, জান্নাতুল বাকী জিয়ারত, কুবার মসজিদ, মসজিদুল ক্বিবলাতাইন, উহুদ, বদরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ভ্রমণ করে থাকেন।
যেহেতু হাজী সাহেবগণ নবীজির রওজা মোবারক করে থাকেন। তাই রওজা জিয়ারতের নিয়ম ও সালাম প্রদানের পদ্ধতি সম্পর্কে জানা অত্যাবশ্যকীয়।
নবীজির রওজা জিয়ারতের নিয়ম:
নবীজির রওজা জিয়ারত করতে চাইলে উত্তম হলো পাক পবিত্র হয়ে সর্বপ্রথম দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা এবং রাসুল সা. এর উপর অধিক পরিমাণে দুরূদ ও সালাম বর্ষণ করা। অতঃপর রাসুল সা. এর রওজা অভিমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে আদব, বিনম্র ও নীচু স্বরে নিম্নোক্ত বাক্যগুলো পাঠ করা।
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللّٰهِ
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا حبيبَ اللّٰهِ
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا نَبِىَّ اللّٰهِ
উচ্চারণ: আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া রসূলাল্লাহ। আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া হাবীবাল্লাহ। আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপর সালাম। হে আল্লাহর হাবীব আপনার উপর সালাম। হে আল্লাহর নবী আপনার উপর সালাম
নবীজির রওজায় সালাম প্রদানের ফজিলত:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَىَّ إِلاَّ رَدَّ اللَّهُ عَلَىَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে কেউই আমার উপর যখন সালাম পেশ করে, তখন আল্লাহ্ তাআলা আমাকে তার খবর দেন এবং আমি তার জবাব প্রদান করে থাকি।
[সুনানে আবু দাউদ: ২০৪৭]
নবীজির রওজায় সামনে ঈমানের সাক্ষ্য প্রদান:
নবীজির রওজা মোবারকের সমনে দাঁড়িয়ে নিজের ঈমানের সাক্ষ্য দেওয়া উচিত। ভিড়ের কারণে প্রথমবার না পরলেও দ্বিতীয়বার যিয়ারাতের সময় রওযার বড় জালির সামনে দাঁড়িয়ে কালিমায়ে শাহাদাত পড়বেন। তখন কালিমায়ে শাহাদাত এভাবে পড়তে পারেন-
السلام عليك يا رسول الله ورحمة الله وبركاته، أشهد أنك قد بلغت الرسالة وأديت الأمانة ونصحت الأمة وجاهدت في الله حق جهاده، فجزاك الله عن أمتك أفضل الجزاء وأحسنه
বাংলা উচ্চারণ: আসসালাসু আ’লাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহি ওয়া রহমাতুল্লাহি ও বারাকাতুহু। আশহাদু আন্নাকা ক্বদ বাল্লাগতার রিসালাতা ওয়া আদাইতাল আমানাতা ওয়া নাসাহতার উম্মাতা ওয়া জাহাদতা ফিল্লাহি হাক্কা জিহাদিহি। ফাজাযাকাল্লাহু আন উম্মাতিকা আফদালাল জাযা ওয়া আহসানাহ।
যদি শুধু সালাম প্রদানের সুযোগ পাওয়া যায়। তাহলে সালাম প্রদান করবে।
রাসুল সা. এর কবরের ডান পাশে আবু বকর রা. এর কবর। আবু বকর রা. এর কবরের সামনে দাঁড়িয়ে সালাম পেশ কবরে এভাবে যে-
السلام عليك يا أبا بكر الصديق ورحمة الله وبركاته جزاك الله عن أمة محمد خيراً ورضي الله عنك فلقد نصحت وأديت الأمانة
আস সালামু আলাইকা ইয়া আবা বকরিনিস সিদ্দীক ওয়া রহমাতুল্লাহি ও বারাকাতুহু। জাযাকাল্লাহু আন উম্মাতি মুহাম্মাদিন খাইরান ওয়া রাদিয়াল্লাহু আনকা ফাক্বদ নাসাহতা ওয়া আদাইতাল আমানাতা।
অতঃপর সামান্য ডানে সরে হযরত উমর রা. এর কবরের সামনে দাঁড়িয়ে অনুরূপ সালাম পেশ করবে। এভাবে যে,
السلام عليك يا عمر ورحمة الله وبركاته جزاك الله عن أمة محمد خيراً ورضي الله عنك فلقد نصحت وأديت الأمانة
আস সালামু আলাইকা ইয়া উমারু ওয়া রহমাতুল্লাহি ও বারাকাতুহু। জাযাকাল্লাহু আন উম্মাতি মুহাম্মাদিন খাইরান ওয়া রাদিয়াল্লাহু আনকা ফাক্বদ নাসাহতা ওয়া আদাইতাল আমানাতা।