‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ৩’ ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি-এর লেখা অসাধারণ একটি বই। বইটিতে লেখক নাস্তিকদের ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন অবান্তর যুক্তির গঠনমূলক উত্তর দিয়েছেন। ২০১৭ সালে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-১’ প্রকাশিত হলে পাঠকমহলে তা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় নারী বিষয়ক অভিযোগগুলোর নিয়ে ২০২০ সালে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-২’ প্রকাশিত হয়। অবিশ্বাসীদের প্রকোপে জনমনে সৃষ্ট সংশয়ের আরো কিছু জবাব লেখেন ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-৩’ বইটিতে।
ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-৩ বই সম্পর্কে:
ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-৩ আগস্ট, ২০২২-এ সন্দীপন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। বইটির শরয়ী সম্পাদনা করেন মাওলানা আবদুর রহমান। বইটি মোট ৬ টি গল্পে বিভক্ত। কুরআন, ইসলাম ত্যাগের শাস্তি, মদ, জোয়া সম্পর্কীয় বিধি বিধান, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা., উত্তরাধিকার, জান্নাত, হাদিস সংরক্ষণ নিয়ে অবিশ্বাসীদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর কুরআন-সুন্নাহ এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার আলোকে বইটিতে পেশ করা হয়েছে। বইটি সর্বস্তরের পাঠকের পাঠোপযোগী।
বই থেকে নির্বাচিত অংশ:
নাস্তিককে তার নাস্তিকতার ব্যাপারে কনফিউজ করে দেওয়াটাও এক ধরনের সাফল্য। তাদেরকে হিদায়াত দেওয়া আমাদের কাজ না। আমাদের কাজ তার বিশ্বাসকে টলমল করে দেওয়া। [পৃষ্ঠা: ২৬]
দাঈ হতাশ হয় না। দাঈর চোখে তিনভাগ জল, একভাগ আশা। [পৃষ্ঠা: ৩১]
ধর্ম পার্থিব ভোগকে সীমিত করে। তাই সে (নাস্তিক) ধর্ম চায় না, সে চায় না স্রষ্টা বলে কিছু থাকুক, যে ভোগকে সীমাবদ্ধ করে। যদি থাকেও সে যেন হয় শ্রেফ Prime Mover বা First Cause বা Natural God জাতীয় কিছু যে পার্থিব জীবনে বাগড়া দেবে না। আইন দেবে না, ওহি দেবে না, নৈতিকতা আরোপ করবে না… এই পার্থির ভোগবিলাসের জন্য সে নিজের ফিতরাতের বিরুদ্ধে চলে যায়। [পৃষ্ঠা: ৩২]
দেখবেন, আপনি যখন ক্রমাগত কারও মুদ্রাদোষ খেয়াল করতে থাকবেন, অবচেতনে ওই মুদ্রাদোষ আপনার ভেতর আসার চেষ্টা করছে। হিন্দুর সাথে মাখামাখি বেশি হলে শিরক আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হবে। নাস্তিক-শাতিমের সাথে ওঠাবসা বেশি হলে নাস্তিকতাকে মনে হবে ‘তেমন কিছু না’। আল্লাহ রাসুলকে গালি দেওয়াটাকে মনে হবে ওর অধিকার। কাফিরকে ‘ওয়ালি’ হিসেবে এজন্যই গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন ‘সাইকোলজির স্রষ্টা’। [পৃষ্ঠা: ৩৭]
মাদরাসার ‘ইলমে দ্বীন’ আর ভার্সিটিব ‘কুরআনিক সাইন্স’ ‘ইসলামের ইতিহাস’, ‘এরাব স্টাডিজ’ ইত্যাদির মাঝে শেকড়ে পার্থক্য। মাদরাসায় আপনি শিখবেন ‘ইসলামি জ্ঞানতাত্ত্বিক ধারা মোতাবেক ইসলাম’। আর ইসলামিক স্টাডিজ গুলো হলো একেকটা পশ্চিমা অ্যাকাডেমিক ডিসিপ্লিন। যেখানে আপনি শিখবেন ‘পাশ্চাত্য মেথডোলজি মোতাবেক ইসলাম’। আর পাশ্চাত্য জ্ঞানতত্ত্বের অন্যতম ভিত্তি হলো ‘কার্তেসীয় সংশয়বাদ’ (cartesian skepticism)| সংশয় থেকে জ্ঞানের শুরু। [পৃষ্ঠা: ৫০]
বিশ্বাস নিজেই অনেক প্রশ্নের উত্তর। যাকে বিশ্বাস করেন, তার ব্যাপারে প্রশ্নও কম। তার দিকে বেশি যায় বেনিফিট অব ডাউট। [পৃষ্ঠা: ৯৬]
দেশি ইসলামবিদ্বেষীগুলো বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে চূড়ান্ত অসৎ। যা দেখে না (যেমন আল্লাহ), তাও মানে না। আবার যা দেখে (নারী-পুরুষ অসমতা), তাও মানে না। [পৃষ্ঠা: ১১১]
প্রাচ্যবিদ্যার নামে ইউরোপীয়রা ইসলামিক হিস্ট্রি অনুবাদের নামে বেইজ্জত করে ছেড়েছে। ভুল অনুবাদ, মনগড়া ব্যাখ্যা, তথ্যগোপন—কী নেই। আর এগুলো নিয়েই নব্য নাস্তিকদের আস্ফালন। [পৃষ্ঠা: ১৩০]
মতামত পর্যালোচনা
ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ৩
‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ৩’ ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি-এর লেখা অসাধারণ একটি বই। বইটিতে লেখক নাস্তিকদের ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন অবান্তর যুক্তির গঠনমূলক উত্তর দিয়েছেন।
ইতিবাচক
- ইসলাম নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা
- নাস্তিকদের যুক্তি খণ্ডন
- বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
মতামত পর্য়ালোচনা
-
বইটির সুন্দর ও সাবলীল উপস্থাপন আমার ভালো লেগেছে।
ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ৩ -/- কিনুন:
We collect information from many stores for best price available