জুমার দিন আমলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিনের বেশ কিছু ফজিলত রয়েছে। আবু লুবাবা ইবন ‘আব্দুল মুনযির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সা. বলেছেন: জুমু’আর দিন তো দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। কুরবানীর দিন ও ‘ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। এ দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে: এ দিনে আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আ.)–কে সৃষ্টি করেন। এ দিনেই আল্লাহ তা’আলা আদম (আ.)–কে পৃথিবীতে পাঠান এবং এ দিনেই আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর মৃত্যু দান করেন। এ দিনে রয়েছে এমন একটি মুহূর্ত, যদি কোন বান্দা সে মুহূর্তে হারাম ব্যতীত কোন কিছু আল্লাহর কাছে চায়, তবে তিনি তাকে তা দান করেন। এ দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ, আসমান–যমীন, বায়ু, পাহাড়–পর্বত ও সমুদ্র সবই জুমু’আর দিনে শংকিত হয়। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১০৮৪১]
জুমার দিনের বেশ কিছু আদব ও সুন্নত
জুমার দিনের বেশ কিছু আদব ও সুন্নত রয়েছে। যথা:
১. গোসল করা
২. সুগন্ধি মাখা
৩. চুল আচড়ানো
৪. মেসওয়াক করা
৫. উত্তম পোশাক পরা
৬. আগে আগে মসজিদে যাওয়াপায়ে হেটে যাওয়া
৭. নবীজির উপর দরুদ পড়া
৮. সূরা কাহাফ পাঠ করা
৯. মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনা
১০. খুৎবার সময় নিরব থাকা
১১. জুমার পর সুন্নত আদায় করা
১২. দোয়া কবুলের মুহুর্ত খোঁজা