প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের জন্য রাসুল সা. এর সুন্নত আঁকড়ে ধরা এবং খুলাফায়ে রাশেদীন রা. এর পদাঙ্ক অনুসরণ করা অত্যাবশ্যকীয় । এবং বিদআত এবং দ্বীনে নব্য আবিষ্কৃত বিষয় থেকে পরিপূর্ণরূপে বেঁচে থাকা। কেননা প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতা জাহান্নামের পথকে সুগম করে।
ইমাম শায়েফী রহ. বলেন: “সমস্ত মুসলিম উম্মাহ এ ব্যাপারে একমত যে, যদি কারো কাছে রাসুল সা. এর কোন সুস্পষ্ট সুন্নত থাকে। তাহলে কারো মতকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সেই সুন্নত পরিত্যাগ করা জায়েজ নেই।”
কুরআন ও সুন্নাহ বোঝার ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরাম রা., তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীনদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া আবশ্যক। কেননা রাসুল সা. তাদের কল্যাণের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
যখন কিছু সংখ্যক মুসলমান তাদের মতামতকে প্রত্যাখান করেছে। তখন তাদের সাথে বিদআত সহ বিভিন্ন প্রকার মতানৈক্য দেখা দিয়েছে।
দ্বীন-ইসলাম আল্লাহ পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে। ফলে তা কারো কামনা-বাসনার উপর নির্ভরশীল নয়। আর যে ব্যক্তি কূপ্রভিত্তির অনুস্বারী সে ইসলাম থেকে বেড়িয়ে যায়।
ইমাম মালেক রহ. বলেন: “যে ব্যক্তি নতুন বিদআতের প্রচলন করে আর তা ভালো মনে করে। সে ধারণা করে যে, রাসুল সা. তার রিসালাতের ব্যাপারে খিয়ানত করেছেন। (নাউজুবিল্লাহ।)”
প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক, আয়াত, হাদীস এবং এগুলো থেকে ইজতিদাহকৃত দলিল-আদিল্লাহ-এর ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা। যদি সেগুলো স্বীয় মাজহাবের ইমামের মতামতের বিপরীত হয়। পাশাপাশি, নুসুসের উপর কারো মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা।
কেননা, আলেমগণেরও পদস্খলন হতে পারে। রাসুল সা. ব্যাপারে কেউই এর থেকে নিরাপদ নয়।
ইজতিহাদ করার মত যোগ্য ব্যক্তি ব্যতীত কারো জন্য ইজতিহাদ করা সাজে করা। সাধারণ মুসলমান, যারা শরিয়তের হুকুম আহকাম সম্পর্কে জানে না। তাদের জন্য তাকলীদ করা আবশ্যক।
কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন:
فاسألوا اهل الذكر إن كنتم لا تعلمون
তোমরা উলামায়ে কেরামের কাছে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমরা না জানো।
– সংগৃহীত