খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব রা. (৫৮৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব। তিনি রাসুল সা.-এর বিশ্বস্ত সাহাবী, ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা, এবং ইসলামের শক্তি প্রতিষ্ঠায় অন্যতম প্রধান অবদানকারী। তাঁর নেতৃত্বে ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজ একটি নতুন দিগন্তে প্রবাহিত হয় এবং তাঁর শাসনামলে মুসলিম সভ্যতার প্রসার ঘটে বিশ্বব্যাপী। উমর রা. ছিলেন এক মহান নেতা, যাঁর চরিত্র ছিল দৃঢ়, ন্যায়পরায়ণ এবং বিচক্ষণ।
তাঁর শাসনকালে ইসলামের শাসনভূমি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয় এবং মুসলিমরা শাম, বাইতুল মাকদিস, পারস্য, মিশরসহ অন্যান্য অঞ্চলে বিজয় অর্জন করে। তিনি ছিলেন এমন একজন নেতা, যিনি নিজেকে সবসময় জনগণের সেবক হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন, আর তাঁর শাসন ছিল আদর্শ এবং অত্যন্ত মানবিক। তাঁর শাসনকাল এক অনন্য যুগ হিসেবে পরিচিত, যেখানে শক্তি এবং ন্যায়ের মধ্যে সমন্বয় ছিল। ইসলামের প্রথম যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে উমর রা. এর অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উমর রা.-এর শাসনকাল ইসলামের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিল, যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি আদর্শ হয়ে থাকবে। হযরত উমর রা. তাঁর রাজনৈতিক কৃতিত্বের পাশাপাশি তাঁর ন্যায়বিচার, দৃঢ় নেতৃত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধে অটুট আস্থা রেখে ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর জীবন ছিল ইসলামের প্রতি অটুট ভালোবাসা, রাসুল সা.-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অবিচল এক আনুগত্যের প্রতীক। তার শাসনময় জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল ইসলামের সাফল্য এবং শান্তির পথে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিতভাবে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা.-এর জীবন, তাঁর ইসলাম গ্রহণের গল্প, তাঁর শাসনকাল, যুদ্ধসমূহ, এবং তাঁর মহান অবদান নিয়ে আলোচনা করব। তাঁর জীবনধারা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, এবং নেতৃত্বের প্রজ্ঞা আমাদের জন্য এক অমূল্য শিক্ষার উৎস।
নাম এবং পরিচিতি
- নাম: উমর
- উপনাম: আবু হাফস
- উপাধি: ফারুক
- পিতার নাম: খাত্তাব
- বংশসূত্র: উমর ইবনে খাত্তাব ইবনে নুফাইল ইবনে আবদুল উজ্জা ইবনে রিয়াহ ইবনে আবদুল্লাহ
হযরত উমর রা. হিজরতের ৪০ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন।
উমর রা.-এর স্ত্রীগণ:
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. একাধিক বিয়ে করেছিলেন। তাঁর স্ত্রীগণ হলেন:
- জয়নাব রা.
- তিনি ছিলেন উসমান ইবনে মাজউন রা. এর দুধ বোন। ইসলামের প্রথম যুগে মক্কায় ইন্তেকাল করেন।
- কুরাইবা বিনতে আবু উমাইয়া আল মাখজুমি
- মক্কায় ইসলাম গ্রহণ না করার কারণে উমর রা. তাকে তালাক দেন।
- মুলাইকা বিনতে হারওয়াল
- তিনিও মুশরিক ছিলেন, এবং ইসলাম গ্রহণ না করার কারণে উমর রা. তাকে তালাক দেন।
- আতেকা বিনতে জায়েদ রা.
- প্রথমে তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনে আবু বকর রা.-এর স্ত্রী, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি উমর রা.কে বিয়ে করেন।
- উম্মে কুলসুম রা.
- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় নাতনি, ফাতেমা রা.-এর সন্তান। উমর রা. নবীজির বংশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে ৪০ হাজার মহরের বিনিময়ে ১৭ হিজরিতে তাকে বিয়ে করেন।
উমর রা.-এর সন্তান-সন্ততি:
- আবদুল্লাহ ইবনে উমর:
- আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. ছিলেন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. এর পুত্র এবং ইসলামের একজন প্রখ্যাত সাহাবী।
- আসেম:
- আবু শাহমা:
- আবদুর রহমান:
- জায়েদ:
- মুজির:
এই সন্তানরা শুধু উমরের পরিবারের উত্তরাধিকারী ছিল না, বরং তাঁদের জীবন ও কর্মকাণ্ড ইসলামী ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। তাঁদের যোগ্যতা, শিক্ষা ও ধর্মীয় আদর্শ উমর রা. এর মহান কর্মের ধারাবাহিকতা।
উমর রা.-এর ইসলাম গ্রহণ
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. ইসলামের শত্রুদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। মক্কার কুরাইশ নেতা আবু জাহেল ও উমর রা. ছিলেন ইসলাম ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে প্রধানতম প্রতিপক্ষ। সে সময় রাসুল সা. আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, যেন এই দুই ব্যক্তির মধ্যে যেকোনো একজন ইসলামের অধিকারী হন। রাসুল সা. দোয়া করেন:
اللهم أعزّ الإسلام بأحب هذين الرجلين إليك بأبي جهل أو بعمر بن الخطاب
“হে আল্লাহ! আবু জাহেল অথবা উমর ইবনে খাত্তাবের মধ্যে যিনি আপনার কাছে প্রিয়, তার মাধ্যমে ইসলামকে শক্তিশালী করুন।” [জামে তিরমিজি: ৩৬৮১]
আল্লাহ তায়ালা রাসুল সা.-এর দোয়া কবুল করেন, এবং এই দোয়ার ফলস্বরূপ উমর রা. ইসলাম গ্রহণ করেন।
হযরত উমর রা. এর ইসলাম গ্রহণের একটি বিখ্যাত ঘটনা রয়েছে। একদিন তিনি মক্কায় রাসুল সা.কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রওনা হন। পথিমধ্যে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সাহাবী নাঈম বিন আবদুল্লাহ রা. এর, যিনি তাকে প্রশ্ন করেন: “কোথায় যাচ্ছ?”
উমর রা. উত্তেজিতভাবে বলেন, “আমি মুহাম্মদের ফায়সালা করতে যাচ্ছি।”
নাঈম রা. তখন বলেন: “তোমার ঘরে আগে খবর নাও, তোমার বোন এবং ভগ্নিপতিও তো ইসলাম গ্রহণ করেছে।”
এই কথা শুনে হযরত উমর রা. তৎক্ষণাৎ বোনের ঘরের দিকে রওনা হোন। উমর রা.-এর বোন কুরআন তেলাওয়াত করছিলেন। উমর রা.-এর পায়ের আওয়াজ পেয়ে তিনি কুরআনের পৃষ্ঠাগুলো লুকিয়ে ফেলেন।
ঘরে ঢোকা মাত্রই হযরত উমর রা. রাগান্বিত স্বরে জিজ্ঞাসা করলেন: শুনলাম, তোমরা নাকি ধর্মত্যাগী হয়ে গেছ। এ কথাটা বলেই তিনি ভগ্নিপতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। বোন বাঁচাতে এলে উমর তাকেও প্রহার শুরু করেন। এমনকি তার শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। অবশেষে নিরুপায় হয়ে বোন বলল: উমর! যা ইচ্ছে করতে পারো। কিন্তু অন্তর থেকে ইসলাম বের করতে পারবে না।
এ কথা উমর রা. এর হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করে। তিনি শান্ত হয়ে বোনের কাছে কুরআনের আয়াতগুলো শুনতে চান। বোন তখন কুরআনের পৃষ্ঠা দেখিয়ে তাঁকে শোনান। কুরআনের এই আয়াতগুলি উমর রা. এর মন পাল্টে দেয়, এবং তিনি ঠিক করেন ইসলাম গ্রহণ করবেন।
রাসুল সা.-এর কাছে ইসলাম গ্রহণ
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা. সাফা পাহাড়ের নিচে আরকাম রা.-এর বাড়িতে অবস্থান করতেন। হযরত উমর রা. বাড়ির দরজায় করাঘাত করেন। সাহাবীগণ তাকে দেখে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিতে দ্বিধান্বিত হন। কিন্তু সাহাবী হামজা রা. বললেন: “তাকে ঢুকতে দাও। যদি ভালো উদ্দেশ্যে আসে, তবে সে ইসলাম গ্রহণ করবে। আর যদি খারাপ উদ্দেশ্যে আসে, তবে আমি তার তরবারি দিয়ে তার শিরশ্ছেদ করব।”
উমর রা. যখন ভেতরে প্রবেশ করলেন, তখন নবীজির কাছে গিয়ে তিনি বিনয়ের সঙ্গে বলেন: “আমি ঈমান আনার জন্য এসেছি।” রাসুল সা. তাঁকে স্বাগত জানান এবং সপরিসরে ইসলাম গ্রহণ করেন। মুহূর্তেই উমর রা. এর ইসলাম গ্রহণে মক্কার আকাশে তাকবীরের ধ্বনি গাঁথা হয়ে ওঠে। এই ঐতিহাসিক ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
মদিনায় হিজরত:
হিজরতের অনুমতি পেয়ে যখন মুসলমানরা মদিনার দিকে যাত্রা করতে শুরু করেন, তখন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা.ও মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি প্রথমে মুশরিকদের সমাবেশে অস্ত্র ধারণ করে কাবা শরিফে পৌঁছান। সেখানে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে তাওয়াফ করেন, নামাজ আদায় করেন এবং তার পরে মুশরিকদের লক্ষ্য করে বলেন: “যে কেউ আমার মোকাবিলা করতে চায়, সে যেন মক্কার বাইরে এসে মোকাবেলা করে।” এ সাহসিকতার পর কেউ তার সঙ্গে মোকাবিলা করার সাহস করেনি। এইভাবে উমর রা. শান্তিপূর্ণভাবে মদিনার দিকে হিজরত করেন।
মদিনায় পৌঁছানো:
মদিনায় পৌঁছে হযরত উমর রা. কুবা নামক স্থানে রিফাআ ইবনে আবদুল মুনজির রা.-এর বাড়িতে মেহমান হন। উমর রা.-এর পর সাহাবায়ে কেরাম হিজরত শুরু করেন এবং কিছুদিন পর ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় পৌঁছান।
বদর যুদ্ধে উমর রা.
মদিনায় সর্বপ্রথম বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মতামত প্রদান, পরিকল্পনা প্রণয়ন, বীরত্ব ও দৃঢ়তা— সর্বক্ষেত্রেই উমর ইবনুল খাত্তাব রা. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশে ছিলেন।
বদর যুদ্ধে মুশরিকদের ৭০ জন নিহত হয় এবং প্রায় সমসংখ্যক মানুষ বন্দি হয়। যুদ্ধের পর বন্দিদের সঙ্গে কী আচরণ করা হবে, এই বিষয়ে সাহাবীদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে পরামর্শ সভার আয়োজন হলে উমর রা. বলেন: “এদের সবাইকে হত্যা করা হোক। এক্ষেত্রে আমাদের সবাই নিজ নিজ নিকটাত্মীয়কে হত্যা করুক। আলি আকিলের গর্দান উড়িয়ে দিক। অমুক অমুককে হত্যা করুক। আমি আমার নিকটাত্মীয়ের কাজ সম্পাদন করব।”
তবে, হযরত উমর রা.-এর এই মতামতের বিপরীতে অন্যরা ভিন্ন মত পোষণ করেন। হযরত উমর রা.-এর মতামত আল্লাহর বিধানের অনুকুলে ছিল। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
مَا كَانَ لِنَبِيَّ أَن يَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُلْخِنَ فِي الْأَرْضِ
অর্থ: “নবীর কাছে কোনো বন্দি থাকা উচিত নয়, যতক্ষণ না তিনি তাদের রক্ত প্রবাহিত করেন।” [আল-আনফাল আয়াত: ৬৭]
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা.-এর শাহাদাত
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাহাবী এবং দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে মুসলিম সমাজে তাঁর ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। তাঁর শাসনামল ছিল ইসলামের ইতিহাসে এক স্বর্ণালী যুগ, যেখানে তিনি ন্যায়বিচার, সমাজের উন্নতি এবং ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে, একটি কুটিল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি শাহাদাত বরণ করেন, যা মুসলিম সমাজে গভীর শোকের কারণ হয়।
হযরত উমর রা.-এর শাহাদাতের পেছনে ছিল একটি গভীর ষড়যন্ত্র। মুগিরা ইবনে শুবা রা.-এর এক পারসিক গোলাম ( ফিরোজ, উপনাম ছিল আবু লুলু) উমর রা.-এর কাছে একটি অভিযোগ নিয়ে আসে। অভিযোগ ছিল, তার মনিব মুগিরা ইবনে শুবা রা. তাকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করেন। তবে, এই অভিযোগ ছিল ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হযরত উমর রা. এই অভিযোগের কোন গুরুত্ব দেননি এবং ফিরোজের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
এর পর, ফিরোজ উমর রা.-এর উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি উমর রা.-কে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য একটি সুযোগ খুঁজতে থাকেন। একদিন তিনি মসজিদে এসে ফজরের নামাজের সময় মিন্বারের আড়ালে লুকিয়ে যায়। যখন হযরত উমর রা. নামাজ পড়াতে দাঁড়ান, তখন হঠাৎ তিনি আবু লুলুর আক্রমণের শিকার হন।
উমর রা.-এর উপর আক্রমণ
ফিরোজ প্রথমে উমর রা. কে পরপর ছয়টি আঘাত করেন। আঘাতের ফলে হযরত উমর রা. মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং আর নামাজ পড়াতে পারেননি। তখন আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা. তার স্থলে নামাজ পরিচালনা করেন। উমর রা. আহত অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হয়ে আসেন এবং তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
হযরত আবদুল্লাহ রা.-কে অসিয়ত
অবস্থা আশংকাজনক হলে উমর রা. তাঁর ছেলে হযরত আবদুল্লাহ রা.-কে অসিয়ত করেন। তিনি বলেন:
“আমার যে ঋণ রয়েছে, তা যদি রেখে যাওয়া সম্পদ দ্বারা আদায় হয়ে যায়, তবে ভালো। অন্যথায়, বনু আদির কাছে আবেদন করো। তাদের দ্বারাও যদি সম্ভব না হয়, তবে পুরো কুরাইশকে বলবে। তবে কুরাইশ ছাড়া অন্য কাউকে কষ্ট দেবে না।”
শাহাদাতের পর
হযরত উমর রা. ২৪ হিজরির মুহাররম মাসের প্রথম তারিখ, শনিবার, রবের ডাকে সাড়া দিয়ে ইহকাল ত্যাগ করেন। তাঁর শাহাদাত মুসলিম সমাজে এক গভীর শোকের সৃষ্টি করেছিল। তিনি ইসলামের একজন মহান নেত্রী ছিলেন এবং তাঁর শাসনামল মুসলিমদের জন্য একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। উমর রা.-এর শাহাদাতের পর তার শূন্যস্থান পূর্ণ করা সহজ ছিল না, কারণ তিনি ছিলেন এক অনন্য নেতা, যিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবসময় নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
উমর রা.-এর জীবন এবং তাঁর শাহাদাত মুসলিম বিশ্বে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তাঁর শিক্ষাগুলো আজও মুসলিম সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।