নিজেকে অনুপ্রাণিত ও কর্মোদ্যমী করে তুলতে প্রয়োজন মোটিভেশনাল উক্তির। কেননা এর মাধ্যমে আমরা আমাদের কাজে গতি ফিরে পাই। আমাদের স্পৃহা, আগ্রহ, মনোযোগ ও মনোবল বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া আত্মসচেতনতা তৈরিতেও মোটিভেশনাল উক্তির ভূমিকা রয়েছে।
তবে উক্তি নির্বাচন বাঞ্ছনীয়। ব্যক্তি জ্ঞানের গভীরতার উপর উক্তির গভীরতা নির্ভর করে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক ব্যক্তির সঠিক উক্তি নির্বাচন। নিচে ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি দেওয়া হয়েছে। তার আগে জনপ্রিয় মাইন্ড ট্রেইনার সাবিত রায়হানের বাছাইকৃত বেশ কিছু উক্তি সংযোজন করা হয়েছে। আশা করছি, নিজেকে এবং অন্যকে মোটিভেট করতে উক্তিগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
১৭ টি ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি
আপনি যেদিন আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলোর জন্য অন্যকে দোষারোপ করা বন্ধ করবেন, সেদিন থেকে দেখবেন সবকিছু বদলে গিয়েছে, ইনশাআল্লাহ্। – সাবিত রায়হান
আপনার জীবনে আপনার সাথে কী ঘটেছে তা বিবেচ্য বিষয় নয় বরং জীবন পরিবর্তন করার জন্য আপনার মনোভাব কেমন তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে মনোভাব গ্রহণ করছেন তা আপনাকে গড়ছে অথবা ভাঙছে। – সাবিত রায়হান
কোন আমাদের ফোকাসে এবং সময় নষ্ট করে দেয়। তাই আপনার নিজের প্রয়োজনে ফোন ব্যবহার করুন। আপনার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদেরকে বলে রাখুন যে আপনি কী নিয়মে কোন ব্যবহার করে থাকেন। – সাবিত রায়হান
প্রতিবার রিং হলেই সবসময় আপনার ফোনটি তুলবেন না; আপনার ফোনটি আপনার সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হয়; যারা আপনাকে কল করে তাদের জন্য নয়। আপনি যা করছেন তা চালিয়ে যাওয়ার স্বাধীনতা দিন এবং অন্যকে বলুন যেন আপনাকে SMS প্রেরণ করে। – সাবিত রায়হান
মূলত, আপনার আজকের জীবন, আপনার অতীতের কিছু পছন্দ, সিদ্ধান্ত এবং কাজের সরাসরি ফলাফল। – সাবিত রায়হান
হযরত মু’আয ইব্ন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: তোমরা তিনটি অভিশাপযুক্ত কাজ থেকে- (১) অবতরণস্থল বা জলাশয়ের ঘাটে, (২) রাস্তার মধ্যবর্তী স্থানে ও (৩) ছায়াযুক্ত স্থানে মলত্যাগ থেকে বিরত থাকো।
(ইমাম আবু দাউদ ও ইব্ন মাজাহ, আবু সাঈদ হিময়ারী সূত্রে হযরত মু’আয (রা.) থেকে হাদীসটি আবূ দাউদ (র) বলেন, হাদীসটি মুরসাল। আবু সাঈদ হিময়ারী মু’আয-এর সাক্ষাত পাননি। বর্ণনা করেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ২৪৩
হযরত হুযায়ফা ইবন উসায়দ (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি রাস্তাঘাটে মুসলমানদের কষ্ট দেয়, তার উপর তাদের অভিশাপ ওয়াজিব বা অপরিহার্য হয়ে যায়।
(ইমাম তাবারানী তাঁর ‘কাবীর’ গ্রন্থে হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ২৪৫
হযরত ইবন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: মুআযযিনের আযান শেষ হলেই তার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক সজীব-নির্জীব বস্তু যে তার আযান শুনতে পায়, সে তার জন্য মাগফিরাত কামনা করে।
(আহমদ সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাবারানীর ‘কাবীর’ গ্রন্থে এবং বাযযারও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে বাযযার (র) বলেছেন: “সজীব-নির্জীব বস্তু প্রত্যেকেই তার আযানের জবাব দেয়।”) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ৩৬৪
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: মুআযযিনের মাথার উপর রয়েছে রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তা’আলার হাত এবং তার কণ্ঠস্বর যতদূর পৌঁছে, ততদূর ক্ষমা তার জন্য প্রসারিত করা হয়।
(হাদীসটি তাবারানীর ‘আওসাত’ গ্রন্থে বর্ণিত।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ৩৬৭
হযরত আনাস ইবন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমি শপথ করলে তা পূরণ করি। আল্লাহর নিকট তাঁর বান্দাদের মধ্যে চন্দ্র-সূর্যের প্রতি যারা লক্ষ্য রাখেন অর্থাৎ মুআযযিনগণ সর্বাধিক প্রিয়। আর কিয়ামতের দিন তাদের গর্দান দীর্ঘ হওয়ায় (সহজেই) তাদের চেনা যাবে।
(হাদীসটি তাবারানী ‘আওসাত’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ৩৭৪
হযরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কবর থেকে মুআযযিনগণ আযান দিতে দিতে উঠবে এবং তালবীয়া পাঠকারীগণ (হাজীগণ) তালবীয়া পাঠ করতে করতে কবর থেকে বেরিয়ে আসবে।
(তাবারানী ‘আওসাত’ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ৩৭৬
হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সওয়াবের প্রত্যাশী মুআযযিন রক্তাপ্লুত শহীদের ন্যায়। মৃত্যুর পরে কবরে তার শরীর নষ্ট হবে না।
(হাদীসটির সনদে ইবরাহীম ইবন রুস্তম নামে জনৈক রাবী রয়েছেন। তবে তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলা হয়েছে।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ৩৮৪
হযরত আনাস ইবন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যখন কোন গ্রামে আযান দেওয়া হয়, আল্লাহ তা’আলা ঐ দিনের আযাব থেকে উক্ত গ্রামকে নিরাপদ রাখা হয়।
(হাদীসটি তাবারানীর ‘মুজাম’ত্রয়ে বর্ণিত হয়েছে।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ৩৮৫
হযরত ইবন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ইসলামের বুনিয়াদ পাঁচটি বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত। তা হল: ১. আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল- এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া, ২. সালাত কায়েম করা, ৩. যাকাত আদায় করা, ৪. বায়তুল্লাহ শরীফে হজ্জ পালন করা এবং ৫. রমযানের সিয়াম পালন করা।
(বুখারী, মুসলিম ও অপরাপর হাদীস গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ১১০৭
হযরত ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন: চারটি বস্তু এমন যে, যাকে এগুলো প্রদান করা হয়েছে, তাকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণসমূহ দান করা হয়েছে। (১) কৃতজ্ঞ অন্তর, (২) যিক্রকারী জিহবা, (৩) কষ্টে ধৈর্যধারণকারী শরীর এবং (৪) এমন স্ত্রী, যে নিজের দেহের বা স্বামীর ধন-সম্পদের ব্যাপারে পাপাচারের কথা ভাবতে পারে না।
(হাদীসটি তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ২৩১০
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কিছু মানুষ দুনিয়াতে নরম তুলতুলে বিছানায় আল্লাহর যিক্র করবে, আর এ যিক্র তাদেরকে সুউচ্চ মর্যাদায় পৌছিয়ে দেবে।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর ‘সহীহ’ গ্রন্থে দাররাজ আবুল হায়সাম সূত্রে বর্ণনা করেছেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ২৩১১
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রেই নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন: আল্লাহ্ বলেনঃ হে আদম সন্তান। তুমি যখন আমার যিক্র করলে, তখন আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে। আর যখন আমাকে ভুলে থাকলে তখন আমার অকৃতজ্ঞ হয়ে গেলে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর ‘আওসাতে’ বর্ণনা করেছেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ২৩২৩
১৪ টি সেরা ইসলামিক ক্যাপশন
আপনি যদি আপনার জীবনের সমস্যার অংশ হতে না পারেন, তবে আপনি সমাধানের অংশও হতে পারবেন না। – সাবিত রায়হান
পুষ্টিকর খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আপনার শরীরের যত্ন নেওয়া আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। – সাবিত রায়হান
প্রতিবার যখন আপনি অন্যকারো সমালোচনা করছেন তখন আপনি আসলে নিজের ক্ষতি করছেন। – সাবিত রায়হান
মূল বিষয় হলো, “যা আপনি করেন, তাই আপনি পান।” সুতরাং আপনি যখন বিচ্ছিন্নভাবে উদারতার কাজ করা শুরু করবেন, তখন আরও বেশি উদারতা আপনার কাছে ফিরে আসবে! আমরা অন্যদের জন্য যে ভালো কাজ করি, তা সত্যিই আমাদের পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। – সাবিত রায়হান
আপনি যে সমস্ত বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তার বেশির ভাগই বাস্তবে অনেক কম ভয়ংকর হতে পারে বা কখনোই ঘটে না। – সাবিত রায়হান
মৃত্যুর পূর্বে মানুষের অন্যতম অনুশোচনা হলো, পরিবারের সাথে বেশি সময় না কাটানো এবং অফিসে খুব বেশি সময় কাটানো! – সাবিত রায়হান
“পরিবারকে কখনোই ব্যবসায়ের জন্য অবহেলা করা উচিত নয়।” – সাবিত রায়হান
আপনি যখন সময়ানুবর্তী হতে শুরু করবেন দেখবেন যে, সেই ১০ মিনিট আপনাকে খুব ভালোবোধ করাচ্ছে, সম্মানিত করছে এবং মানসিক শান্তি অনুভব করাচ্ছে। কোথাও যাওয়ার সময় আপনি যখন ১০ মিনিট আগে পৌছাবেন তখন আপনি নিজেকে খুবই পেশাদার এবং বিবেচক বলে মনে করবেন। – সাবিত রায়হান
প্রতিদিন ইতিবাচক বিষয়গুলোর পুনরাবৃত্তি করার মাধ্যমে, আপনি নিজের অবচেতন মনকে সেগুলোয় বিশ্বাস স্থাপনের ব্যাপারে উপলব্ধি করাতে পারেন। আর, একবার যখন আপনার অবচেতন মনে সেই উপলব্ধি গড়ে ওঠে, তখন সেই অনুসারে আপনি কর্মতৎপর হয়ে ওঠেন। – সাবিত রায়হান
হযরত সাহল ইব্ন মুআয ইব্ন আনাস (রা.) তাঁর পিতার বরাতে বর্ণনা করেন, যে নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন শিক্ষা দেয়, তাকে সেমতে আমলকারীর অনুরূপ সওয়াব দেওয়া হবে। এতে আমলকারীর সওয়াব থেকে একটুও হ্রাস করা হবে না।
(ইমাম ইব্ন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ১৩০
হযরত আবূ মূসা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন লোকদের থেকে আলিমদের পৃথক করবেন এবং তিনি বলবেন: হে আলিম সম্প্রদায়! আমি আযাব দেওয়ার জন্য তোমাদেরকে ইলম দান করিনি। বরং যাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম।
(ইমাম তাবারানী তাঁর ‘কাবীরে’ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ১৩৩
হযরত আবূ উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: আলিম এবং আবিদকে একত্র করা হবে। আবিদকে বলা হবে তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর এবং আলিম ব্যক্তিকে বলা হবে, থাম এবং লোকদের শাফা’আত কর।
(ইস্পাহানী প্রমুখ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ১৩৪
হযরত জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আলিম এবং আবিদকে (কিয়ামতের দিন) উঠানো হবে। আবিদকে বলা হবে জান্নাতে প্রবেশ কর, থাম এবং যাদের আপ্যায়নের জন্য পসন্দ কর, তাদের শাফা’আত কর।
(ইমাম বায়হাকী প্রমুখ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ১৩৫
হযরত ইব্ন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: একজন ফকীহ (আলিম) শয়তানের জন্য হাজার আবিদ অপেক্ষাও অধিকতর শক্ত।
(ইমাম তিরমিযী, ইব্ন মাজাহ ও বায়হাকী রাওহ ইব্ন জানাহ সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি মুজাহিদ (র) থেকে মুফরাদরূপে বর্ণনা করেছেন।) – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব)
হাদীস নং: ১৩৭
২৬ টি ইসলামিক মোটিভেশনাল স্ট্যাটাস
সঠিক মুহূর্ত কখনোই আসে না। কাজ করতে হলে আপনাকে এক্ষুনি শুরু করতে হবে নয়তো চিরকালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। – সাবিত রায়হান
কোনো সম্পর্কে না জড়ানোটা নিজের ভবিষ্যৎকে গড়ার সবচেয়ে ভালো একটি উপায়। – সাবিত রায়হান
মনে রাখবেন, আপনি আগে কখনো অর্জন করেননি এমন কিছু অর্জনের জন্য, আপনাকে এমন কিছু করতে হবে যা আগে কখনো করেননি। – সাবিত রায়হান
আপনি যত বেশি নিজের মতো করে থাকবেন, স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করতে থাকবেন, তত বেশি মানুষ আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে! একবার করেই দেখুন। – সাবিত রায়হান
আপনি নিজেকে যেভাবে প্রকাশ করবেন, আপনার সঙ্গে তেমনি আচরণ করা হবে। – সাবিত রায়হান
আপনি অন্যের কাছে যত সহজলভ্য হবেন, আপনাকে ততই সস্তা মনে করা হবে। – সাবিত রায়হান
আগে জ্ঞানীরা কথা বলতো আর মুর্খরা চুপ থেকে শুনতো, আর এখন মুর্খরা কথা বলে আর জ্ঞানীরা সম্মানহানির ভয়ে চুপ থাকতে বাধ্য হয়। – সংগৃহীত
শত্রুকে সবসময় চোখে চোখে রাখতে হয়। শত্রুকে সামনে হাঁটাতে হয়। কোনো অবস্থাতেই শত্রুকে পেছনে হাঁটতে দিতে নেই। – আতিকুল্লাহ
মানুষ যখন বোকা বানাতে চেষ্টা করে তখন বোকা সেজে থাকাই উত্তম; অতি উত্তম ৷ – সংগৃহীত
“মুসলমানদের সকল সমস্যা যদি কেবল দোয়ার মাধ্যমেই সমাধান হতো, তাহলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো যুদ্ধ (জিহাদ) করতেন না; অথচ তিনি শ্রেষ্ঠ মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ (যার দোয়া কবুল করা হয়)
-শায়খ ইয়াসির আদ দোসারি হাফি.
কারো আঙ্গিনায় সন্ধ্যা নেমে এলে আসমান-জমিন তাকে রক্ষা করতে পারে না।
– ইমাম শাফেয়ী রহ.
হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিয়ামত দিবসে দুনিয়াকে উপস্থিত করা হবে এবং বলা হবে, তোমার মধ্য হতে আল্লাহর জন্য যা কিছু করা হয়েছে, তা ব্যতীত বাকীগুলো পৃথক করে দাও। অতঃপর তাই করা হবে এবং তা জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ১১
হযরত আবূ আইউব আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ভাবগম্ভীর অবস্থায় আমাদের মাঝে এলেন, তিনি বললেন, আমি তোমাদের সম্মুখে যা নিয়ে উপস্থিত আছি তাতে আমার আনুগত্য কর। কুরআন মান্য করা তোমাদের একান্ত কর্তব্য। তোমরা অবশ্যই হালালকে হালাল বলে মান্য করবে এবং হারামকে হারাম বলে মান্য করবে। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ৬৮
হযরত আমর ইব্ন আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি: আমি আমার উম্মতের উপর তিনটি বিষয়ে অধিক ভয় করছি। তা হল আলিমের পদস্খলন, পায়রবীকৃত প্রবৃত্তি ও স্বৈরাচারী শাসক। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ৮২
নবী করীম (সা.) বলেছেন: কোন উম্মত যখন তাদের নবীর ইনতিকালের পরে দ্বীনের মধ্যে বিদআত সৃষ্টি করে, তখন তারা অনুরূপ একটি সুন্নাতের সর্বনাশ সাধন করে। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ৮৪
হযরত ইরবায ইব্ন সারিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা বিদআত থেকে বেঁচে থাকবে, কেননা প্রত্যেক বিদ’আতই গুমরাহী। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ৮৮
হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ইবলীস বলে, আমি তাদের (লোকদের) ধ্বংস করেছি পাপাচারে লিপ্ত করে, আর তারা আমাকে ধ্বংস করেছে ইসতিগফার করে। যখন আমি এরূপ দেখলাম, তখন তাদেরকে প্রবৃত্তির দাসত্বে লিপ্ত করে ধ্বংস করলাম। ফলে তারা ধারণা করে তারা তো সৎপথেই আছে, তাই তারা আর ইসতিগফার করে না। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ৮৯
হযরত ইব্ন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন: অন্যায়ভাবে এমন কোন নর হত্যা সংঘটিত হয় না যার অপরাধের কিছুটা বোঝা আদমের প্রথম সন্তান (কাবিল)-এর উপর না বর্তায়। কেননা সেই বিশ্বের বুকে প্রথম নর হত্যার রীতি প্রবর্তন করে। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ৯৭
হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ্ যখন তাঁর বান্দার কল্যাণ চান, তখন তাকে দীনের ব্যুৎপত্তি দান করেন এবং সৎপথ প্রদর্শন করেন। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ১০২
হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয। অযোগ্য পাত্রে ইলম গচ্ছিত রাখা শূকরের গলায় মণিমুক্তা খচিত স্বর্ণ হার পরানোর শামিল। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ১১০
হযরত ইব্ন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তার ও আম্বিয়া কিরামের মাঝে কেবল নবুওতের স্তরটিরই ব্যবধান থাকবে। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ১১১
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সাত ব্যক্তির কাছে মৃত্যুর পরে কবরে তাদের আমলের সওয়াব চালু রাখা হয়। তারা হচ্ছেঃ (১) যে ব্যক্তি ইলম শিক্ষা দেয়, (২) অথবা নহর খনন করে, (৩) অথবা কূপ খনন করে, (৪) অথবা ফলদার (খেজুর গাছ) বৃক্ষ রোপণ করে, (৫) অথবা মসজিদ তৈরি করে, (৬) অথবা বই-পুস্তক রেখে যায়, (৭) অথবা এমন সন্তান রেখে যায় যে তার মৃত্যুর পর তার জন্যে মাগফিরাত কামনা করে।
(ইমাম বাযযার ও আবূ নু’আয়ম তাঁর ‘হিলইয়া’ গ্রন্থে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন। আবু নু’আয়ম বলেন, এ হাদীসটি কাতাদা সূত্রে গরীব সনদে বর্ণিত। কেননা আবূ নু’আয়ম (র) কেবল আযরামী সূত্রে তা বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন। অতঃপর মুহাম্মদ ইব্ন আবদুল্লাহ বলেন, আযরামী রাবী হিসেবে যঈফ। তবে এ হাদীসটির কিয়দংশ পূর্ব বর্ণিত হাদীসের পরিপোষক। এ হাদীসটি এবং পূর্বোল্লিখিত হাদীসখানা সহীহ হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। তবে তিনি তাতে বলেছেন: إِلَّا من صَدَقَة جَارِيَة (তবে সাদকায়ে জারীয়া ব্যতীত) উল্লিখিত হাদীসের রিওয়ায়াতে কম-বেশি এ মর্মের সহীহ বর্ণনাসমূহের সমাবেশ ঘটেছে । – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ১১৪
হযরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে বিদ্যা বিদ্বানকে সৎপথ দেখায় অথবা তাকে ধ্বংস (অসৎ পথ) হতে ফিরিয়ে রাখে, তার ন্যায় উত্তম উপার্জনকারী আর কেউই নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত কারো কাছে আমল ঠিক না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তার দ্বীনদারী ঠিক হতে পারে না। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ১১৫
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন, একজন মুসলিমের জন্য সর্বোত্তম সাদকা হল ইলমে দীন শিক্ষা করা, অতঃপর অন্য মুসলিম ভাইকে তা শিক্ষা দেওয়া। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ১২১
হযরত ইব্ন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: দুই ব্যক্তি ব্যতীত কেউ ঈর্ষার পাত্র নয়ঃ (১) যাকে আল্লাহ্ তা’আলা ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং তা যথার্থ ক্ষেত্রে ব্যয় করার তৌফিক দিয়েছেন; (২) যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা হিকমত দান করেছেন, সে সেমতে কাজ করে এবং অন্যকে তার শিক্ষা দেয়। – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ১২২
হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: বনী আদমের মৃত্যুর পর তার তিনটি আমল ব্যতীত (যাবতীয়) আমল বন্ধ হয়ে যায়। তা হলঃ (১) সাদকায়ে জারিয়া, (২) উপাদেয় ইলম এবং (৩) সুসন্তান, যে তার জন্য দু’আ করে – আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহ. (আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব) হাদীস নং: ১২৫