আপনি কীভাবে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখবেন তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল বা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগের ক্ষেত্রে। এই গাইডে আপনাকে দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়ম এবং কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আবেদন পত্রের গুরুত্ব
দরখাস্ত বা আবেদন পত্র হলো একধরনের ব্যবহারিক রচনা। এটি লিখতে হয় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে, কারণ এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার প্রয়োজনীয় তথ্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন।
বিশেষ করে চাকরি, ছুটি, বেতন মওকুফ, পরীক্ষার ফি মওকুফ, পদোন্নতিসহ সরকারি নানা কাজে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে ভুল নিয়মে লেখা আবেদন পত্র অনেক সময় গ্রহণযোগ্য হয় না। তাই আবেদন পত্রের সঠিক কাঠামো ও ভাষা ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আবেদন পত্র লেখার মৌলিক কাঠামো
দরখাস্ত/আবেদন পত্র লেখার সময় ৮টি বিষয় সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হয়। উক্ত ৮টি বিষয়কে মূল কাঠামো বলা হয়। এগুলো হলো:
- শুরুতে বিসমিল্লাহ
- প্রারম্ভিকতা
- বিষয়
- সালাম ও সম্মান প্রদর্শন মূলক বাক্য
- আবেদনের বিষয়বস্তু এবং সময় সীমা
- পরিশিষ্ট
- নাম, তারিখ এবং স্বাক্ষর
শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখা
আবেদন পত্রের উপরের অংশে মাঝ বরাবর ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম’ লিখুন। এটি আবেদন পত্রকে আরও মার্জিত এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব প্রদান করে। তাছাড়া যেকোনো ব্যবহারিক লেখার শুরুতে “বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম” লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
প্রারম্ভিকতা:
প্রারম্ভিকতা আবেদন পত্রের মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে একটি। ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম’ এর পরে প্রারম্ভিকতা লিখতে হয়। প্রারম্ভিকতার মাধ্যমে আবেদনটি কার উদ্দেশ্যে লিখিত তা প্রকাশ পায়। এই অংশে যিনি আবেদনটি পড়বেন তার পদবী, নাম এবং প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়।
উদাহরণ:
- বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
এ. আর. খন্দকার রেজি. কেজি স্কুল, পুলিশ লাইন্স, ময়মনসিংহ। - বরাবর,
হযরত মুহতামীম/ নাযেমে তালীমাত/ দারুল ইকামা সাহেব হাফি.
জামিয়া ফয়জুর রহমান রহ. বড় মসজিদ, মোমেনশাহী। - বরাবর,
ইনআম বিন রফিক হাফি.
বিভাগীয় প্রধান, ডিপ্লোমা অফ অ্যারাবিক,
মারকাজুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ।
বিষয়:
প্রারম্ভিকতার পর আবেদন পত্রে বিষয় উল্লেখ করতে হয়। দরখাস্তের বিষয় সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট হওয়া উচিত।
উদাহরণ:
- বিষয়: ছুটির আবেদন।
- বিষয়: অসুস্থতার কারণে ছুটির আবেদন।
- বিষয়: পারিবারিক সমস্যার কারণে ছুটির আবেদন।
- বিষয়: ক্লাসে বসার অনুমতির আবেদন।
- বিষয়: বেতন মওকুফের আবেদন।
- বিষয়: পরীক্ষার ফি মওকুফের আবেদন।
- বিষয়: ভর্তি ফি মওকুফের আবেদন।
সালাম ও সম্মান প্রদর্শন মূলক বাক্য:
আবেদন পত্রের বিষয় লেখার পর এই অংশে আবেদনকারী তার উদ্দেশ্য সালাম, বিনীতভাবে প্রকাশ এবং নিজের পরিচয় সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন।
উদাহরণ:
”আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি অত্র প্রতিষ্ঠানের একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার ক্লাসে উপস্থিত থাকা অত্যন্ত জরুরি।”
আবেদনের বিষয়বস্তু:
এটি দরখাস্তের মূল অংশ। এখানে আবেদনকারীর প্রাসঙ্গিক বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
উদাহরণ:
”আমার অসুস্থতার কারণে/ আমার পিতার অসুস্থতার কারণে/ আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে/ পারিবারিক সমস্যার কারণে বাড়িতে যাওয়া/ ছুটির একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।”
পরিশিষ্ট:
এই অংশে আবেদনকারীর বিনীত অনুরোধ উপস্থাপন করা হয়।
উদাহরণ:
“অতএব, বিনীত আরজ এই যে, উক্ত বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক আমাকে ২৮/১২/২০২৩ ইং সন থেকে ৩১/১২/২৩ ইং সন পর্যন্ত মোট ৪ দিনের ছুটি দানে আপনার একান্ত সুমর্জি কামনা করছি।”
নাম, তারিখ এবং স্বাক্ষর
সর্বশেষ আবেদন পত্রে আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা ও তারিখ উল্লেখ করতে হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উল্লেখ করতে হয় শিক্ষার্থী নাম, শ্রেণি, রোল নং এবং তারিখ। নিম্নে এর নমুনা দেওয়া হলো:
উদাহরণ:
- বিনীত নিবেদক:
নাম: আবু সাবের আব্দুল্লাহ।
শ্রেণি: ডিপ্লোমা অফ অ্যারাবিক।
রোল নং: ০১
তারিখ: ২৭/১২/২৩ ইং - বিনীত নিবেদক:
নাম: আবু সাবের আব্দুল্লাহ।
পিতা: আব্দুল খালেক।
পেশা: কম্পিউটার অপারেটর।
ঠিকানা: ওয়াশপুর, সাভার, ঢাকা।
তারিখ: ২৭/১২/২৩ ইং
আবেদন পত্রের নমুনা ছবি:
বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য নিচে আবেদন পত্রের ছবি দেওয়া হলো। আশা করছি, উপকৃত হতে পারবেন।
কয়েকটি দরখাস্ত লেখার নমুনা
ছুটির দরখাস্ত
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
এ. আর. খন্দকার রেজি. কেজি স্কুল, পুলিশ লাইন্স, ময়মনসিংহ।
বিষয়: ছুটির আবেদন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আমার আকুল আবেদন এই যে, আমি অত্র স্কুলের একজন ছাত্র। আমার অসুস্থতার কারণে ছুটির একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
অতএব,
বিনীত আরজ এই যে, উক্ত বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক আমাকে ২৮/১২/২০২৩ ইং সন থেকে ৩১/১২/২৩ ইং সন পর্যন্ত মোট ৪ দিনের ছুটি দানে আপনার একান্ত সুমর্জি কামনা করছি।
বিনীত নিবেদক:
নাম: আবু সাবের আব্দুল্লাহ।
শ্রেণি: প্রথম
রোল নং: ০৪
তারিখ: ২৭/১২/২৩ ইং
পবিত্র হজ পালনের জন্য ছুটির আবেদন
বরাবর
মহাপরিচালক
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
বাংলাদেশ, ঢাকা।
মাধ্যম: যথাযথ কর্তৃপক্ষ।
বিষয়: পবিত্র হজ্জব্রত পালনের জন্য ছুুটির অনুমতি দান প্রসংঙ্গে।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার অধীনে ঢাকা জেলার মতিঝিল থানার মাদারটেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। আসন্ন ২০২৩ইং সালের ২৯ শে ডিসেম্বর পবিত্র হজ্জ বিধায় আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমার নিজ খরচে হজ্জব্রত পালন করিবার জন্য পবিত্র মক্কা মদীনায় অর্থাৎ সৌদি আরব যাবার জন্য আপনার নিকট অনুমতি চাহিয়া আবেদন করিলাম।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমাকে হজ্জব্রত পালনের জন্য প্রয়োজনীয় ছুটি দানের অনুমতি দিয়া বাধিত করিতে আপনার সু-আজ্ঞা কামনা করছি।
নিবেদিকা:
(হাছিনা আকতার)
প্রধান শিক্ষিকা
মাদারটেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
কাজে যোগদানের আবেদন পত্রের নমুনা
বরাবর,
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা
অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ।
বিষয়: কাজে যোগদানের আবেদন।
জনাব,
অতি বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পরিচালক (স্বাস্থ্য), ঢাকা বিভাগ, স্মারক নং- পরিঃ স্বাঃ/ঢাকা/পার-২/০৬/২৯৯৪৯- এর আদেশ বলে আমাকে আপনার অধীনে ডেন্টাল সার্জন হিসাবে যোগদানের আদেশ প্রদান করিয়াছেন। সে মোতাবেক অদ্য ২২/১০/২০০৬ইং রোজ রবিবার সকাল ৯:০০ ঘটিকায় কাজে যোগদান করলাম।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা আমার কাজে যোগদানের অনুমতি দানে জনাবের সদয় মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক:
(ডাঃ মোঃ আওলাদ হোসেন)
ডেন্টাল সার্জন
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
আড়াই হাজার, নারায়ণগঞ্জ
(বর্তমানে লিয়নের আদেশ বাতিল শেষে পদায়নের অপেক্ষমান)
তারিখ:
চাকরির আবেদন পত্রের নমুনা
তারিখ: ২০/০৬/২০২৪ ইং
মাননীয় ,
সভাপতি
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ
আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর।
বিষয়: “হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক” পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, বিশ্ব¯ত্মসূত্রে জানিতে পারিলাম যে, আপনার স্বনামধন্য মহাবিদ্যালয়ে “হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক” পদে লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসাবে মহোদয় সমীপে আমার আবেদনপত্র পেশ করিতেছি।
অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, উপরোক্ত তথ্যাবলীর আলোকে আমাকে উক্ত পদে নিয়োগ দানের জন্য জনাবের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।
বিনীত নিবেদিকা:
(ফারজানা শারমিন)
সংযুক্তি:
১। ৩ কপি সত্যায়িত ছবি।
২। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩। জন্ম সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৫। প্রশংসাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
পদত্যাগপত্র গ্রহণের আবেদন পত্রের নমুনা
তারিখ:
বরাবর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
জান্নাতুল এসোসিয়েশন এন্ড প্রিন্টিং
উত্তর মানিকদিয়া, সবুজবাগ,
ঢাকা-১২১৪।
বিষয়: পদত্যাগপত্র গ্রহণ প্রসংগে।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আপনার প্রতিষ্ঠানে “কালার মাষ্টার” হিসাবে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে বর্তমান পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম।
অতএব, মহোদয় সমীপে প্রার্থনা আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ পূর্বক বর্তমান পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
( মুহা. শামীম হোসেন)
কালার মাষ্টার
জান্নাতুল এসোসিয়েশন এন্ড প্রিন্টিং
মোবাইল:
প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম:
নমুনা ১:
প্রত্যয়ন পত্র
এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, আবুল কালাম মকদম, পিতা- মৃত মমতাজ উদ্দিন মকদম, মাতা- সাহেরা বেগম, বর্তমান ঠিকানাঃ ১৪৮, মধ্য বাসাবো, পোঃ বাসাবো, থানাঃ সবুজবাগ, জেলাঃ ঢাকা-১২১৪, আমার নিকট পরিচিত। তিনি অত্র ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা। তাহার পুত্র জুবায়ের হোসেন অর্নব মুগদা আইডিয়াল স্কুলের ৩য় শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। শাখা- ৪, ক্রমিক নং ৫৮। আমার জানামতে তাহার সংসারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। মোট ২ জন সšত্মান স্কুলে লেখাপড়া করে। তিনি নিজেই পরিবারের একমাত্র উপার্যনশীল ব্যক্তি। করোনা মহামারিতে তাহার সকল আয় রোজগার বন্ধ প্রায়। বর্তমানে তিনি সšত্মানদের লেখাপড়ার খরচ এবং সংসারের ব্যায় নির্বাহ করিতে অড়্গম প্রায়। তাহার সšত্মানদের লেখাপড়ার বিষয়ে যেকোন সহযোগিতার জন্য জোড় সুপারিশ জানাইতেছি।
আমি তাহার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।
নমুনা ২:
যাহার জন্য প্রযোজ্য
এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, মুহা. নাঈম হাসান, পিতা- মুহা. আব্দুস সাত্তার, মাতা- মোছা. মরিয়ম বেগম, ঠিকানা- ১৬৭, মাদারটেক নতুন পাড়া, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪, অত্র প্রতিষ্ঠানের “অফিস সহায়ক” পদে ০১/০১/২০১৫ইং হইতে ৩০/০৪/২০১৭ইং পর্যন্ত কর্মরত ছিল। কর্মরত অবস্থায় সে কঠোর পরিশ্রমী, সৎ ও বিশ্ব¯ত্মতার সহিত কর্মরত করিতেছে। আমি যতদূর জানি তাহার স্বভাব চরিত্র ভাল। অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় সে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-শৃঙ্খলা বিরোধী কোনরূপ কার্যকলাপে জড়িত নয়ে। সে উত্তম চরিত্রের অধিকারী।
আমি তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও সাফল্য কামনা করি।
মুহাম্মদ উলস্নাহ ভূঁইয়া
ম্যানেজিং ডাইরেক্ট
ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন কামানোর জন্য আবেদন পত্রের নমুনা:
বরাবর,
অধ্যক্ষ
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ
১৪৮, নিউ বেইলী রোড, ঢাকা-১০০০।
বিষয়: ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন কামানোর জন্য আবেদন।
জনাব,
যথা বিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী রম্নবাইয়া সুলতান, এস.এস.সি ২০২০ সনের পরীড়্গায় জিপিএ-৪.০০ পাইয়া উর্ত্তীণ হইয়াছি। আমি একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আপনার কলেজে আবেদন করিয়াছি এবং ভর্তির জন্য নির্বাচিত হইয়াছি। বর্তমানে আমার বাবার আর্থিক অবস্থা বেশী ভালো না। আমার বাবার পড়্গে আমার সম্পূর্ণ ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন দিয়া লেখা-পড়া করানো প্রায় অসম্ভব। তাই আমার ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন কামানোর জন্য আকুল আবেদন করিতেছি।
অতএব, আপনার নিকট বিনীত প্রার্থনা উপরোক্ত বিষয়ে বিবেচনা করিয়া আমার ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন কমিয়ে আপনার কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দিলে চির কৃতজ্ঞ থাকিবো।
নিবেদক:
(রম্নবাইয়া সুলতানা)
এসএসসি রোল-৩৩৪৬৯৮
পাশের সন-২০২০
বিভাগ- ব্যবসায় শিক্ষা
ঠিকানা- ডি-১৭, বনশ্রী,
খিলগাঁও, ঢাকা-১২১৯।
মোবাইল:
তারিখ:
সেশন ফি মওকুফের জন্য আবেদন পত্রের নমুনা
বরাবর,
অধ্যক্ষ
কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ
কদমতলা, ঢাকা।
বিষয়: সেশন ফি মওকুফের জন্য আবেদন।
জনাব,
যথা বিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন আমি নিম্নে স্বাক্ষরকারী মুহা. জাহাঙ্গীর আলম। আমার ছেলে মুহা. আরিফুল ইসলাম (শাওন) আপনার স্কুলের একজন নিয়মিত ছাত্র। সে ৬ষ্ঠ শ্রেণী হইতে ৭ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হইয়াছে। বর্তমানে আমার আর্থিক সমস্যার কারণে তাহাকে ৭ম শ্রেণীতে ভর্তি করতে পারছিনা। তাই তাহার সেশন ফি মওকুফ করে দিলে তাহার লেখাপড়া করা সম্ভব হইবে।
অতএব, আপনার নিকট বিনীত প্রার্থনা উপরোক্ত বিষয়ে বিবেচনা করিয়া আমার পুত্রের সেশন ফি মওকুফ করে বাধিত করিবেন।
নিবেদক
(মোঃ জাহাঙ্গীর আলম)
১০২/এ, পূর্ব বাসাবো,
সবুজবাগ, ঢাকা।
তারিখ:
ইমাম নিয়োগের আবেদন পত্রের নমুনা
বরাবর,
উপ-মহাব্যবস্থাপক
কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগ-১
বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক
উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।
বিষয়: ইমাম নিয়োগ প্রসঙ্গে।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, গত ১২/০৬/ ২০০৭ ইং তারিখের “দৈনিক যুগান্তর” পত্রিকার মাধ্যমে অবগত হইলাম যে, “ময়নারবাগ জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে” একজন ইমাম নিয়োগ করিবেন। আমি একজন প্রার্থী হিসাবে এই আবেদন পত্র পেশ করিলাম। আমার পরিচয়, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিম্নে উল্লেখ করিলাম।
১। নাম : মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক আজমী
২। পিতার নাম : মোঃ হোসাইন আলী
৩। বর্তমান ঠিকানা : মসজিদ-ই-নূর, নন্দীপাড়া, বাসাবো, খিলগাঁও, ঢাকা।
৪। স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম- দত্তসার, পো: শোলক, থানা: উজিরপুর, জেলা- বরিশাল।
৫। জন্ম তারিখ : ১০/০২/১৯৭২ইং
৬। জাতীয়তা : বাংলাদেশী
৭। বৈবাহিক অবস্থা : বিবাহিত
৮। শিক্ষাগত যোগ্যতা:
শ্রেণী : দাখিল
বিভাগ: দ্বিতীয়
সন: ১৯৮৪
৯। অভিজ্ঞতা: ২৩ বছর। (ইমাম হিসাবে)
১০। বিশেস অভিজ্ঞতা: (ক) তাফসীর কারক, বাংলাদেশ টেলিভিশন।
নাম ও বয়স সংশোধন সংক্রান্ত হলফনামা:
আমি, মো. আব্দুল কারীম, পিতা: হাজী আ. হাকিম আলী মোলস্না, মাতা: হাজী ছাকেরা হাকিম, ঠিকানা: গ্রাম-আদেল মুন্সীরকান্দি বড় কেশবপুর, পোষ্ট: হোগলারমাঠ, উপজেলা/থানা: শিবচর, জেলা: মাদারীপুর, পেশা: ব্যবসা, ধর্ম: ইসলাম, জাতীয়তা: বাংলাদেশী এই মর্মে হলফ করিতেছি যে,
১. আমি বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি বটে। আমি আইনগতভাবে যেকোন বৈধ সিদ্ধাšত্ম নেওয়ার অধিকারী।
২. আমার পাসপোর্ট যাহার নং অএ xxx৪৯৪-এ আমার মতার নাম হাজী ছাকেরা হাকিম (Haji Chakera Hakim) এবং আমার জন্ম তারিখ ০৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৬ইং আছে।
৩. আমার জাতীয় পরিচয় পত্রে যাহার নং ৫৪xxx৫১-এ ভুলবশত আমার মতার নাম ছাহেরা খাতুন এবং আমার জন্ম তারিখ ০১ জানুয়ারী ১৯৮৫ইং হইয়াছে।
৪. প্রকৃত পক্ষে পাসপোর্ট অনুযায়ী আমার মাতার নাম হইবে হাজী ছাকেরা হাকিম (Haji Chakera Hakim) এবং আমার জন্ম তারিখ হইবে ০৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৬ইং।
৫. এখন থকেে র্সবত্র আমার মতার নাম হইবে হাজী ছাকরো হাকমি (Haji Chakera Hakim) এবং আমার জন্ম তারখি হইবে ০৫ ফব্রেুয়ারী ১৯৭৬ইং ।
উপরে র্বণতি ববিরণসমূহ আমার জ্ঞান মতে সত্য জানয়িা অদ্যকার তরখিে নোটারী পাবলকিরে সম্মুখে অত্র হলফনাময় আমার নজিনাম দস্তখত করলিাম। ইতি, তারখি: ২৯/০৬/২০১৫ইং
হলফকারীর স্বাক্ষর:
হলফকারী আমার পরচিতি এবং তিনি আমার সম্মুখে অত্র হলফমায় তাহার নিজ নাম দরখাস্ত করয়িাছনে।
দরখাস্ত লেখার সময় যেসব বিষয় এড়িয়ে চলবেন
- অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উল্লেখ করা।
- অতিরিক্ত দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার।
- ভুল তথ্য প্রদান।
- অসম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দরখাস্ত বা আবেদন পত্র ডাউনলোড করুন
নিম্নে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরণের দরখাস্ত ও আবেদন পত্রের ইডিটেবল Microsoft Word File (ওয়ার্ড ফাইল) দেওয়া হলো। ফাইলগুলো ডাউনলোড করে সহজেই প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পাদনা করে ব্যবহার করতে পারবেন।
হজ্বের ছুটির আবেদন পত্র
হজ পালন উপলক্ষে ছুটির জন্য প্রয়োজনীয় আবেদন পত্র।
২. কাজে যোগদানের আবেদন পত্র
ছুটির পর বা নতুন নিয়োগে কাজে যোগদানের জন্য উপযুক্ত আবেদন পত্র।
৩. পদত্যাগ পত্র
চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বিনীত পদত্যাগ পত্র।
৪. সদস্য পদের আবেদন পত্র
প্রতিষ্ঠানে সদস্য পদ গ্রহণের জন্য আবেদন পত্র।
ডাউনলোড করুন
৫. অভিজ্ঞতা সনদপত্র
কর্মস্থলে কাজের অভিজ্ঞতার সনদ পেতে প্রয়োজনীয় আবেদন।
৬. উত্তরাধিকার সনদপত্র
পরিবারে উত্তরাধিকার নির্ধারণের জন্য প্রাসঙ্গিক সনদপত্র।
ডাউনলোড করুন
৭. জমি বায়নাপত্র
জমি ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তিপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় বায়নাপত্র।
ডাউনলোড করুন
৮. চাকরির আবেদন পত্র
কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য বিন্যাসিত পত্র।
ডাউনলোড করুন
৯. ইমাম নিয়োগের আবেদন পত্র
মসজিদের জন্য ইমাম নিয়োগে প্রয়োজনীয় আবেদনপত্র।
ডাউনলোড করুন
১০. NID নাম সংশোধন
জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সংশোধনের জন্য আবেদনপত্র।
ডাউনলোড করুন
১১. অভিভাবকের অনুমতি পত্র
শিক্ষার্থী বা সন্তানের বিশেষ কাজে অভিভাবকের অনুমতির আবেদনপত্র।
ডাউনলোড করুন
১২. নমুনা স্বাক্ষরের প্রত্যয়নপত্র
ব্যাংক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য নমুনা স্বাক্ষরের প্রত্যয়নপত্র।
ডাউনলোড করুন
১৩. জীবন বৃত্তান্ত (CV)
চাকরি বা পেশাদারী প্রোফাইলের জন্য প্রয়োজনীয় জীবন বৃত্তান্ত।
ডাউনলোড করুন
তাছাড়া অন্যান্য আবেদনপত্র এবং সনদ ডাউনলোড করতে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।